‘খুনিদের সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়’

0
293

ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেটঃ  বিএনপি-জামায়াতকে ‘খুনি’ উল্লেখ করে ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘খুনিদের সঙ্গে আমরা টেবিলে বসব না। ওই খুনিদের দোসরদের সঙ্গে আর যা-ই হোক আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের কোনো সংলাপ হবে না, হওয়ার কোনো প্রশ্ন ওঠে না।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এ মন্তব্য করেন। রুশ বিপ্লবের শতবর্ষ উদ্‌যাপন এবং সাম্যবাদী দলের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে বাম দলের নেতারা জঙ্গি ও দেশবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েমের অঙ্গীকার করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, খালেদা জিয়া রোহিঙ্গাদের ত্রাণ কিংবা সমবেদনা জানাতে যাননি। রোহিঙ্গাদের অবলম্বন করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়েছেন। শো-ডাউন করে লোক দেখাতে গিয়েছেন। আগামী নির্বাচনই বলে দেবে কার কত লোক আছে। তিনি মূলত পথিমধ্যে নাটক করেছেন, হামলার নাটক সাজিয়েছেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘খালেদা জিয়া কক্সবাজার গিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। তিনি বলেছেন সরকার ও আওয়ামী লীগ রোহিঙ্গাদের জন্য কিছুই করেনি। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এত বড় মিথ্যাচার কী করে করতে পারেন! এ মিথ্যাচারের জবাব দেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে দেবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবারও জয়ী করবে দেশের মানুষ।’ তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা তাঁদেরই সাজানো নাটক। ওই নাটকের তদন্ত চলছে, অল্প সময়ের মধ্যেই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, সমাজতন্ত্র কায়েমের লক্ষ্যে এই উপমহাদেশে দীর্ঘ দিন আগে সমাজতান্ত্রিক ভাবধারায় সাম্যবাদী দলের যাত্রা। লেনিনের মতাদর্শে এ দেশে মানুষ জাতীয় মুক্তির লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে লেখা সংবিধানের চারটি মূলনীতির একটি হলো সমাজতন্ত্র। যদিও নিজেরা লিখে তা এখনো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ক্ষমতায় আনলে সামনে বিপদ আছে, দাবি করে রাশেদ খান মেনন বলেন বলেন, ‘বাংলাদেশে তিন কোটি মানুষ এখনো দরিদ্র। অনেক মানুষ হতদরিদ্র। শুধু উন্নয়ন নয়, জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ, জামায়াত-শিবিরকে উৎখাত করতে না পারলে তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ী হতে না পারলে; সামনে আরও কঠিন সময় আসবে।’

সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে জাসদের একাংশের সভাপতি এবং তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার হচ্ছে সমাজতন্ত্র। আমরা সমাজতন্ত্রের পক্ষে। সমাজতন্ত্রের বিপক্ষে শাসক ও শোষণকারীরা। সমাজতন্ত্র ছাড়া জীবন চলে না। সংবিধানে চার নীতির মধ্যে সমাজতন্ত্র একটি। ৭৫-এর পর সংবিধান থেকে সমাজতন্ত্র নীতিটি কেটে ফেলা হয়।’ তিনি বলেন, ‘এখন সংবিধানে সমাজতন্ত্রসহ চার নীতি রয়েছে। আমি বলব, প্রধানমন্ত্রী আপনি সংবিধানের পাতা থেকে সমাজতন্ত্রকে জীবনের পাতায় আনেন। মুক্তিযোদ্ধাদের চার নীতির মধ্যে সমাজতন্ত্রী নীতিটি অন্যতম।’ তিনি দেশ থেকে যে করেই হোক ‘তেঁতুল হুজুর’, জঙ্গি-সন্ত্রাসী, জামায়াত ও তাদের পোষণকারীদের চিরতরে উচ্ছেদ করা আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম, জাসদের একাংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া প্রমুখ।

LEAVE A REPLY