ইমতিয়াজুর রহমান / ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : আজ পহেলা ফাল্গুন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দের শেষ ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। বসন্ত মানে পূর্ণতা। বসন্ত মানে নতুন প্রাণের কলরব। বসন্ত মানে একে অপরের হাত ধরে হাঁটা। আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার অসংখ্য রমনী বাসন্তী রঙে নিজেদের রাঙিয়ে পুরো বাংলাকে সুশোভিত করে তুলেছেন।
বসন্তে গাছে গাছে নতুন পাতা আসে। ডালে ডালে কোকিল। রঙিন ফুলে প্রকৃতি সুশোভিত হয়ে ওঠে। এই সময়ে বাতাসে ফুলের রেণু ছড়ায়। প্রকৃতি হয়ে উঠে অপরুপ।
বসন্ত নিয়ে লেখা হয়েছে অনেক গান, অনেক কবিতা। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ভাষায় বসন্তের শাশ্বত রূপটি তাই এমন- ‘ফুল ফুটুক, আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত’।
বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের ‘বসন্ত বাতাস’ নিয়ে জনপ্রিয় একটি গান আছে। গানের শুরুটা ঠিক এ রকম- ‘বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে সই গো, বসন্ত বাতাসে’।
বসন্ত যেমন আমাদের খুশির ঋতু; তেমনি বেদনারও বটে। ফাগুনে শিমুল আর কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙ মনে করিয়ে দেয় বায়ান্নর ফাগুনের শহীদদের কথা। ফাল্গুন মনে করিয়ে দেয় ভাষা শহীদের রক্তের ইতিহাস।
ফাগুনের এই সময় পলাশ, শিমুল গাছে দেখা দেয় আগুন রঙের খেলা। পাতার আড়ালে আবডালে লুকিয়ে থাকা বসন্তের দূত কোকিলের মধুর কুহুকুহু ডাক, ব্যাকুল করে তুলবে অনেক বিরোহী অন্তর।
বসন্তে তারুণ্য মেতে ওঠছে বসন্ত উৎসবে। ২৩ বছর আগে বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ বসন্ত উৎসব আয়োজন করে আসছে। বসন্তের নাচ, গান ও কবিতার পাশাপাশি ফুলের প্রীতি বন্ধনী ও বসন্ত কথনের মাধ্যমে ভোলা সরকারি কলেজে সহ ভোলা জেলার বিভিন্ন স্পটে বসন্ত বরণের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।