ভোলায় সাত যাত্রীবাহী লঞ্চের মালিকের বিরুদ্ধে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা

0
1045

স্স্টাফ রিপোর্টারঃ ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট :ভোলা-ঢাকা নৌ-রুটে চলাচলকারী সাত যাত্রীবাহী লঞ্চের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভোলা-ঢাকা নৌ-রুটে রোটেশন প্রথা বাতিলের দাবিতে আজ রবিবার দুপুরে লঞ্চযাত্রী ও বিশিষ্ট ঠিকাদার রুহুল আমিন কুট্টি বাদি হয়ে ভোলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদিগনের বিরুদ্ধে কারন দর্শানোর নোটিশ জারি করেন।
বাদি পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলী (এপিপি) এডভোকেট গোলাম মোর্শেদ কিরন তালুকদার জানান, ভোলা-ঢাকা নৌ-রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চের রোটেশন প্রথা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

তারা দীর্ঘদিন ধরে রোটেশন প্রথা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসলেও কোন আমলে নেননি প্রভাবশালী লঞ্চ মালিকরা। সরকারের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে রোটেশনের মাধ্যমে ভোলা-ঢাকা নৌ-রুটে লঞ্চ চালাচ্ছেন প্রভাবশালী লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। ফলে বাধ্য হয়ে যাত্রীদের পক্ষে লঞ্চযাত্রী ও বিশিষ্ট ঠিকাদার রুহুল আমিন কুট্টি বাদি হয়ে জাষ্টিজ অব দ্যা পিচ ফেজদারী কার্যবিধির ২৫ ধারায় ভোলা-ঢাকা নৌ-রুটে চলাচলকারী সাত যাত্রীবাহী লঞ্চ কর্নফুলী-৯, কর্নফুলী-১০, কর্নফুলী-১১, গ্লোরী অব শ্রীনগর, এমভি বালিয়া, এমভি ভোলা ও ক্রিষ্টাল ক্রুজের মালিকের বিরুদ্ধে ভোলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আখতারুজ্জামান মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদিগনের বিরুদ্ধে আদালতে তলব করে কারন দর্শানোর নোটিশ জারির আদেশ দেন।

মামলায় বাদি আরো জানান, ভোলা-ঢাকা নৌ-রুটে প্রতিদিন ৪টি করে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করার নিয়ম থাকলেও প্রভাবশালী লঞ্চ কর্তৃপক্ষ সাধারণ যাত্রীদের জিম্মি করে প্রতিদিন ২টি করে যাত্রীবাহী লঞ্চ চালাচ্ছে। এ ছাড়া লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে। এবং যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকাও আদায় করে থাকে। এমনকি সাধারণ যাত্রীরা কেবিনের বুকিং দিলেও লঞ্চ কর্তৃপক্ষ অনেক সময়ে সেই কেবিন অন্যজনকে দিয়ে দেন বলেও বাদি জানান।

অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলী (এপিপি) সোয়েব হোসেন মামুন, এড্যাভোকেট মনিরুল ইসলাম সহ প্রায় ৭ আইনজীবী বাদির পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং মামলা পরিচালনা করেন।

LEAVE A REPLY