ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : ব্যর্থতা, দুর্নীতি, অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের পদত্যাগ দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদের পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ দাবি জানান।
বাবলু বলেন, পদত্যাগ না করলে প্রধানমন্ত্রী যেন শিক্ষামন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আরো বলেন, ‘ঘুষের ব্যাপারটা যখন মন্ত্রী বলেন তখন তার কথা কেউ শুনবে না। তাঁর সেক্রেটারি কেউ শুনবে না, তার অধীনস্ত কেউ শুনবে না। কারণ তিনি ঘুষ খেতে উৎসাহিত করছেন। সেখানে তিনি কীভাবে প্রশ্নফাঁস কনট্রোল করবেন, সেটা তা আমার বোধগম্য হয় না। তাই আমি দাবি করছি, অবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রী তাঁর ব্যর্থতা, তাঁর দুর্নীতি, তাঁর অনিয়ম স্বীকার করে নিয়ে তিনি পদত্যাগ করুন। অথবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ করছি, তাঁকে বরখাস্ত করে শিক্ষা কাজে উন্নয়নের জন্য, গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য আপনারা নতুন মন্ত্রী নিয়োগ করুন।’
এরপর ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ‘নিশ্চয়ই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটা শুনেছেন। তিনি তাঁর বিবেক বিবেচনায় যেটুকু করা প্রয়োজন জাতির স্বার্থে অবশ্যই সেটা তিনি করবেন। তবে আমি যেটা আগেও আপনাদের বলি যে, এই ধরনের একটা বক্তব্য পার্লামেন্টে দিয়ে আমরা যার কোনো রেজাল্ট আনতে পারি না, সেই বক্তব্যটা থেকে নিজেদের বিরত রাখাই বাঞ্ছনীয়।’
গত বছর ২৪ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ল্যাপটপ ও প্রশিক্ষণ সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী এ অধিদপ্তরের অতীতের আট বছর আগের উদাহরণ দিতে গিয়ে ডিআইএর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহনশীল মাত্রায় ঘুষ খাওয়ার পরামর্শ দেন বলে উল্লেখ করা হয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
অবশ্য ২৭ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে শিক্ষাব্যবস্থা ঘুষ আর দুর্নীতিতে ছিল আকণ্ঠ নিমজ্জিত। উদাহরণ হিসেবে আমি সেসব পরিস্থিতি তুলে ধরেছিলাম। অথচ কতিপয় পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় আমার বক্তব্য খণ্ডিতভাবে প্রকাশিত করা হয়েছে।’