সোফিয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কী কথা হলো

0
384

ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট সোফিয়ার সঙ্গে কথা বলে আজ চার দিনব্যাপী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক মেগা ইভেন্ট ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭’-এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নির্ধারিত বক্তব্য দেন। তারপর তিনি সিঙ্গাপুরে প্রস্তুত ও সৌদি আরবের নাগরিকত্ব পাওয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট সোফিয়ার সঙ্গে কথা বলেন। এর পরই তিনি মেলার উদ্বোধনের ঘোষণা দেন। সোফিয়া এবারের মেলার মূল আকর্ষণ।

দুপুর আড়াইটায় ‘টেক টক উইথ সোফিয়া’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে রোবট সোফিয়ার সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। এ অনুষ্ঠান শেষে আজই সিঙ্গাপুরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে সোফিয়াকে। তাঁকে সৌজন্যমূলক গোল্ড মেম্বারশিপ দেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

কিন্তু সবারই আগ্রহ রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট সোফিয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে। নিচে সোফিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হলো :

প্রধানমন্ত্রী : হ্যালো সোফিয়া, কেমন আছো?

সোফিয়া :  হ্যালো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি ভালো আছি। তোমাকে ধন্যবাদ। তোমার সঙ্গে আজকে দেখা হয়ে খুব ভালো লাগছে।

প্রধানমন্ত্রী :  তুমি আমাকে চেন কীভাবে?

সোফিয়া : ভালো। আমি তোমার সম্পর্কে জেনেছি। আমি আরো জেনেছি তুমি মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে। ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ও বলা হয় তোমাকে, তুমি একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চাও।

‘আমি আরো জানি, তোমার নাতনির নাম আর আমার নাম একই, সোফিয়া।’

(তখন সবাই হেসে ওঠেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বোধ হয় আপনারা জানেন, জয়ের মেয়ের নাম কিন্তু সোফিয়া।)

প্রধানমন্ত্রী : ও, তুমি দেখছি আমার এবং আমার ভিশন সম্পর্কে অনেক কিছুই জানো। তুমি কি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ে কিছু জানো?

সোফিয়া : তুমি জেনে অবাক হবে, আমি তোমার ভিশন ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে অনেক কিছুই জেনেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশে জনশক্তি খুবই বেশি, তারা আইসিটি খাতে উন্নয়নে কাজ করছে, ই-গভর্ন্যান্সও নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। অর্থনীতির সব সেক্টরে ডিজিটাল করার লক্ষ্য নিয়ে ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। আইসিটি এক্সপোর্ট থেকে পাঁচ বিলিয়ন ইউএস ডলার আমদানি হচ্ছে, তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র। জনসম্পদ তৈরির দক্ষতা বাড়ানোর কাজও চলছে। সরকারের সব ধরনের সেবাও ডিজিটাল করার কাজ চলছে। ২৮টি আইটি পার্ক ও বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি গঠন বাংলাদেশের আইসিটি খাতে নতুন ল্যান্ডমার্ক তৈরি করবে। আজ এখানে এসে খুব ভালো লাগছে, এটি সাউথইস্ট এশিয়ার সবচেয়ে বড় আয়োজন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি এখন তোমাকে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭-এর উদ্বোধন ঘোষণা করার আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী : আচ্ছা, চলো তাহলে সেটাই করি।

সোফিয়াকে তৈরি করেছে হংকংয়ের হ্যানসেন রোবটিকস।

এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘রেডি ফর টুমরো’। গত নয় বছরেরও বেশি সময়ে আইসিটি সেক্টরে বাংলাদেশের যে অর্জন, তা নিয়ে বাংলাদেশ আগামীর জন্য প্রস্তুত বলে এ বছরের প্রতিপাদ্যে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY