পর্নোগ্রাফি মিথ্যা সেক্স!

0
915

ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট :মার্কিন লেখিকা, গায়িকা তথা প্রাক্তন পর্নো তারকা শেলি লুবেন মনে করেন, পর্নো হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিভ্রম। পর্নো দুনিয়ার অন্ধকার অলিগলির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কেবল মাত্র অর্থের জন্যই পর্নো দুনিয়ায় কাজ করতে হয়েছে।

একজন অপরিচিতের সঙ্গে কখনই যৌনতা উপভোগ করেননি বলেও মতপ্রকাশ করেছেন শেলি।

পর্নো কী? আদিম থেকে আধুনিক, বিশেষজ্ঞদের মতানৈক্যের মধ্যে সর্বজনবিদিত সংজ্ঞা হল, যৌনতা এবং জৈবিক ক্রিয়ার বর্ণনায়নই পর্নো। অনেকে বলেন মানবজাতির আদিম রিপু ‘কাম বিলাসিতা’-র চলমান ছবিই হল পর্নোগ্রাফি। যদিও ইতিহাস বলছে, নীল ছবির শুরুটা কিন্তু হয়েছিল ‘ইরোটিক উপন্যাস’-র হাত ধরেই।

১৭৪৮ সালে প্রকাশিত ‘মেমরিস অব অ্যা ওম্যান অব প্লেজার’ নামের রোম্যান্টিক উপন্যাসই না কি পর্নো দুনিয়ার আঁতুড় ঘর। ব্রিটেনে প্রকাশিত হয়েছিল এই বই। যদিও পর্নোগ্রাফি একটি স্বতন্ত্র ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বিশ শতকে। এরপর যেভাবে নীল ছবির প্রতি মানুষের ঝোঁক বেড়েছে, তাতেই আকাশছোঁয়া সাফল্য পায় পর্নো ইন্ডাস্ট্রি। বিশেষ করে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই এক দশকের মধ্যে পর্নো ইন্ডাস্ট্রি ব্যবসা করেছিল প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার।

ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, মানুষের জৈবিক উচ্ছ্বাস এবং যৌন চাহিদার সাময়িক পরিত্রাতাই হল পর্নো। এতো নাহয় গেল মনস্তত্ত্বের কথা। তবে পর্নো নিয়ে আসলে কী ভাবেন নীলছবির কুশীলবরা, জানা আছে? পর্নো তারকার চোখে পর্নো আসলে কী?

মার্কিন লেখিকা, গায়িকা তথা প্রাক্তন পর্ন তারকা শেলি লুবেন মনে করেন, ‘দর্শকদের মধ্যে পরিকল্পিত ভাবে ‘বিভ্রম’তৈরি করা হয়। যেখানে দেখানো হয়, গোটা ‘সেক্স অ্যাক্ট’উপভোগ করছেন একজন মহিলা, আদতে তা হয় না’, পর্নোগ্রাফি নিয়ে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন এই প্রাক্তন মার্কিন তারকা। একজন মহিলা ‘পর্ন-অভিনেতা’কে পরিচালকের কথা অনুযায়ীই চলতে হয়। লাস্যময়ী হাসি, উত্তেজক পোশাক, শীৎকার এইসবই পরিচালক-প্রযোজকের ইচ্ছামতো হয় বলেও জানিয়েছেন লুবেন।

মার্কিন পর্নো তারকা শেলি লুবেনের বিস্ফোরক দাবি, পর্নো আসলে ‘ফেক সেক্স’। ভিডিওতে যৌন মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করা ছাড়া আর কিছুই নেই এখানে, এটাই সত্য।

বর্তমানে শেলি লুবেন পিঙ্ক ক্রস ফাউন্ডেশনের একজন অ্যাক্টিভিস্ট। পর্নো দুনিয়া থেকে যারা হাসিমুখে বেরিয়ে আসতে চান তাদের সাহায্য করে এই সংস্থা। একইসঙ্গে পর্নো আসক্তদের পর্নো মুক্তির পথও বাতলে দেয় পিঙ্ক ক্রস ফাউন্ডেশন।

LEAVE A REPLY