ভোলা ইলিশা লঞ্চঘাটে প্রতিনিয়ত লাঞ্চিত হচ্ছে নারী-পুরূষ

0
3

মো: আফজাল হোসেন :: ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট দিয়ে চলাচলকারী সাধারন যাত্রীরা জিম্মি অবস্থায় যাতায়াত করছে। লাঞ্চিত,হয়রানীসহ চরম ভোগান্তির যেন শেষ নেই। ঘাটে পুলিশ থাকলেও চুপ করে দর্শকের ভুমিকা পালন করছে এরা। হয়রানী আর লাঞ্চিতর সিকার এসব যাত্রীরা চরম ক্ষোভ জানিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

 

১৩ডিসেম্বর দুপুরে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে গেলে নজরে আসে সাধারন যাত্রীদের চরম হয়রানীর চিত্র। এযেন মগের মুল্লুক। প্রতিবাদ করার সাহস পর্যন্ত নেই কোন যাত্রীর। মুখ বুঝে সহ্য করা ছাড়া কিছুই করার নেই তাদের। গ্রীন লাইন ছেড়ে যাবে,তাই আছিয়া বিবি দ্রুত ঢাকা যাবার জন্যই লঞ্চের দিকে ছুটছে। পন্টুনে উঠতেই পিছন থেকে ঐ মহিলার ব্যাগ টেনে ধরে আছে কর্নফুলী লঞ্চের হয়ে কাজ করা স্টাফরা। অনেক অনুরোধ করেও লাভ হয়নি। এখানেই শেষ নয়,এভাবে একাধিক ঘটনা ঘটায় তারা। নারী-পুরুষ সবারইত আছিয়া বলেন,এটা কোন নিয়ম যে নারীদের ব্যাগ এবং বোরকা পর্যন্ত ধরে টানা হেচরা করবে। দেশে কি কোন আইন নাই। একই ভাবে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অপর এক যাত্রী কিবরিয়া। তিনি বলেন,আমার বাবা খুবই অসুস্থ্য ঢাকাতে আছে দ্রুত তার কাছে যেতে হবে এবং ভর্তি করাতে হবে রাতেই। অথচ আমাকে উঠতে দিচ্ছে না। শুধু তাই নয় তারা হাত দিয়ে ব্যারিকেট দিয়ে রাখে,যাতে কোন যাত্রী লঞ্চে উঠতে না পাড়ে।

 

এসময় ইলিশা তদন্ত কেন্দ্রের কনেস্টবল মো: মাসুম বলেন,আমাদের কিছু করার নেই। এটা নিয়মিত চিত্র। লঞ্চের স্টাফরা যাত্রীদের সাথে এমন আচঁরন করে। চোখের সামনে পরলে ডাক দেই। কোন লাভ হয়ঢ না। কিছুক্ষন পরে আবার যেইসেই। সিনিয়র স্যারেরা ব্যবস্থা নিলে যদি ঠিক হয়। ঘাটে নৌ-পুলিশ সদস্যর থাকার কথা থাকলেও গত দুদিনে এমন কাউকেই পাওয়া যায়নি।

 

এদিকে কর্নফুলী লঞ্চ মালিকের ভোলা অফিসের সহকারী ম্যানেজার মো: লিটন বলেন, আসলে অন্য লঞ্চের সিডিউল টাউম শেষ হয়ে গেলে আমরা আন্টুনে উঠার সিরির পথ বন্ধ করে দেই। যাতে কোন কোন যাত্রী অপর লঞ্চে না উঠতে পাড়ে। নারীদের ব্যাগ ও বোরকা ধরে টানাটানির বিষয় বলেন,এটা অমানবিক এটা করতেই পাড়ে না। এমন কিছু করলে অন্যায় করেছে।

LEAVE A REPLY