কাতার বিশ্বকাপে আরও এক সাংবাদিকের মৃত্যু, এ নিয়ে তিনজন

0
0

কাতার বিশ্বকাপে একের পর এক সাংবাদিকের মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে দারুণ চাঞ্চল্য। রহস্যঘেরা মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েছেন আরও এক সাংবাদিক। এ নিয়ে তৃতীয় সাংবাদিকের মৃত্যুর খবর এলো কাতার বিশ্বকাপ থেকে।

আমেরিকান সাংবাদিক গ্র্যান্ট ওয়াহলের মৃত্যুর দুই দিন পার হতে না হতে জানা যায় বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে কাতারি ফটোসাংবাদিক খালিদ আল মিসলামের। আজ জানা গেছে আরও এক সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি হলেন, রজার পিয়ার্স। তিনি আইটিভি স্পোর্টসের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছিলেন। খবরটি জানিয়েছে স্পেন ভিত্তিক ক্রীড়া দৈনিক মার্কা সহ অনেকগুলো আন্তর্জাতিক মিডিয়া।

তবে, রজার পিয়ার্সের মৃত্যু হয়েছে আরও আগে, ২১ নভেম্বর। কাতার বিশ্বকাপ শুরুর একদিন পর এবং ওয়েলস-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের আগ মুহূর্তে তার মৃত্যুর সংবাদ প্রচার করা হয় আইটিভি স্পোর্টসের সংবাদ বুলেটিনে।

ওই মৃত্যু সংবাদ প্রচার করার সময় প্রেজেন্টার মার্ক পৌগাচ বলেন, ‘কাতার থেকে আমরা আপনাকে খুবই খারাপ একটি সংবাদ শোনাতে যাচ্ছি। আমাদের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর রজার পিয়ার্স, যিনি ৮ম বিশ্বকাপ কাভার করতে কাতার গিয়েছিলেন, দুঃখজনকভাবে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। স্পোর্টস ব্রডকাস্টিং ইন্ডাস্ট্রিতে পিয়ার্স একজন খুবই সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। আর আইটিভির জন্য লজিস্টিক্যাল প্লানিংয়ের বিষয়ে তিনি ছিল অপ্রতিদ্বন্দ্বী। রাগবি বিশ্বকাপ, ফুটবল বিশ্বকাপ এবং ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপসহ অনেক আসরই তিনি কাভার করেছেন।’

Journalist

প্রেজেন্টার আরও বলেন, ‘তার (রজার পিয়ার্স) মুখে সব সময় হাসি লেগে থাকতো এবং অন্যের মুখেও হাসি ধরে রাখতে পারতো। তিনি ছিলেন দারুণ পেশাদার এবং অনেক বিখ্যাত।’

২১ নভেম্বর পিয়ার্সের মৃত্যু হলেও তখন এটা আলোচনায় আসেনি। কিন্তু এরপর গ্রান্ট ওয়াহল এবং কাতারি ফটো সাংবাদিক খালিদ আল মিসলামের মৃত্যু আলোচিত বিষয়ে পরিণত হলে পিয়ার্সের মৃত্যুর বিষয়টিও এখন সবার সামনে চলে আসে। বিষয়টা নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে কাতারে।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর। গ্রাম্পিয়ান টিভিতে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। আইটিভির অন্য চ্যানেল, যেমন টিভিএস মেরিডিয়ানেও কাজ করেন। সর্বশেষ, ২০০১ সালে তিনি যোগ দেন আইটিভি স্পোর্টসে।

LEAVE A REPLY