মো: আফজাল হোসেন ॥ নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ঢল। পারাপার হচ্ছে যাত্রীবাহি পরিবহন। বিআইডব্লিউটিসির বিজ্ঞপ্তি মানছে খোদ তাদেরই স্টারা। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।
আজ বিকালে লক্ষিপুর মজুচৌধুরী থেকে এদাধিক ফেরি ভোলার ইলিশাতে আসে। সেখানে দেখা যায় শতশত মানুষের ঢল। শুধু তাই নয় যাত্রীবাহি গাড়ী পারাপার করছে তারা। ফেরিতে যাত্রীবাহি গাড়ী এবং যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ ঘোষনার পরেও তা মানছে ননা ফেরি কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন শত শত যাত্রী পারাপারসহ যাত্রীবাহি গাড়ী পার হচ্ছে। এসময় ফেরিঘাটে কোস্টগার্ডকে দ্বায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। তাদের কাছে জানতে চাইলেবলেন,আমাদেরকে কিছু বলা হয়নি। অথচ শত শত যাত্রীদের গাদাগাধি করে আসতে দেখা গেলেও অনেকেরই মুখে মাস্ক ছিলো না। এসব বিষয় একাধিক যাত্রী বলেন,ভাই কিশের নিউজ করেন। লকডাউন আছে কোথায়। আপনারাই শুধু লকডাউন দেখান। এসব কেউ এখন মানে না। আমাদের হয়রানী কইরেন না। তবে যারা এসব দেখবে তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদাশিনতা। তারা কিছুই করছে না।
এদিকে প্রশাসনেরমাঝে একটা গাছাড়া ভাব দেখা দিয়েছে। আগের মত প্রশাসনের ততপরতা দেখা যাচ্ছে না। আগের চেয়ে শহরে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারন মানুষের মাঝে লকডাউন মারার তেমন একটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছেনা। শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শহরতলীতে থাকে খোলা। এছাড়া অনেক উপজেলা শহরগুলোতে দেখা যাচ্ছে লকডাউন পালনে উদাসিনতার। এসব এলাকায় প্রশাসনের ততপরতা তেমন দেখা যাচ্ছে না।
এবিষয় ফেরিঘাটের বিআইডব্লিউটির ঘাট ম্যানেজার মো: পারভেজ খান মুঠোফোনে বলেন,আমি দেখছি বিষয়টি। আসলে খেয়াল করা হয়নি। আমি বরিশালে থাকায় এমনটা হচ্ছে। এবিষয় এখন থেকে নজর দেয়া হবে। কোস্ট ও পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা সহযোগীতা না করলেকি করবো আমরা বলেন।
উল্লেখ,’ গতকাল শুক্রবার (৯ জুলাই) বিআইডব্লিউটিসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯ জুলাই থেকে ফেরিতে যাত্রীবাহী সব ধরনের গাডী এবং যাত্রী পরিবহণ বন্ধ থাকবে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরী পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপারে নির্দেশনা রয়েছে।