আদিল হোসেন তপু।। স্বাস্থ্যবিধি মানব দোকানপাট খুলব’‘আমাদের দাবি মানতে হবে দোকানপাট খুলতে হবে প্রতিবাদে ভোলার
বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে জাহাঙ্গির প্লাজা,তালুকদার ভবন,রানী প্লাজা,জিয়া সুপার মার্কেট এর শতাধিক ব্যবসায়ীরা এই কর্মসুচী পালন করেন।
মানববন্ধনে ব্যবসায়ীরা বলেন, গতবছর করোনায় লকডাউন থাকায় ভোলার ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। এবারও লকডাউনের অজুহাতে মার্কেট বন্ধ থাকলে সবাইকে পথে বসতে হবে। এখন স্বাস্থ্যবিধি নশ্চিত করে মার্কেট খুলে দিতে হবে। এক্ষেত্রে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে পারে সরকার।
চৌধুরী প্লাজার শপিং কর্নার এর কাপড় ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জিতু বলেন, গত বছর পহেলা বৈশাখ ও ঈদের আগে মার্কেট বন্ধ ছিল। কোনো ব্যবসা করতে পারেননি। এবারো পহেলা বৈশাখ ও ঈদের আগে মার্কেট বন্ধ রাখা হলে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে ছোট-বড় ব্যবসায়ীদের। গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার আগেই নতুন এই পরিস্থিতি পথে বসিয়ে দেবে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন ,দীর্ঘদিন ধরে দোকান পাঠ বন্ধ ছিলো। এতে করে আমরা ব্যবসায়ীরা অনেক লোকশানের মধ্যে আছি। ব্যাংক ঋণ, স্বর্ণলংকার বন্ধক ও সুদে টাকা এনে ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। লকডাউনে মার্কেট বন্ধ রাখায় আমাদের ঋণ এর ভোজা দিন বেড়েই চলছে। সরকারকে অবশ্যই ব্যবসায়ীদের লোকসানের দিকটাও বিবেচনা করে সীমিত পরিসরে রমাজেন বাকি দিন গুলোর জন্য সীমিত পরিসরে দোকান পাট খুলে দিবে। পরে দোকানপাট খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেন ব্যবসায়ীরা।