মো: আফজাল হোসেন।। কম খরচে অধিক লাভজনক হওযায় ভোলার মেঘনা নদী মধ্যবর্তি চরাঞ্চল গুলোতে দিন দিন বেড়েই চলছে বিদেশী সবজি ক্যাপসিকাম চাষ। এসবজি চাষ করে ভাগ্যর পরিবর্তন হচ্ছে বিচ্ছিন্ন এসব চরাঞ্চলের চাষীদের।সরকারিভাবে ক্যাপসিকাম চাষে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা পেয়ে ভোলার চরাঞ্চলে এ সবজি চাষের বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে দাবি করছেন চাষীরা।
ভোলার মেঘনা নদীর বুকে জেঁগে উঠা মাঝের চর,দৌলতখান উপজেলার চর মদনপুরে প্রায় ২বছর আগে কৃষকরা পরীক্ষামূলকভাবে বিদেশী সবজি ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করে। প্রথম বছর সফলতা পেয়ে পরবর্তী বছর বাণিজ্যিকভাবে এ সবজির চাষ শুরু করে। কম খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় গত বছরে এ সবজির চাষ ও চাষীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪গুন। এসব চরগুলোতে চাষীরা এখন খুবই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে এসব চাষাবাদ নিয়ে। পানি দেয়া থেকে শুরু করে আগাছা বাছা নিয়মিত ঔষধ দেয়া ছাড়াও তুলে পাঠাচ্ছি বাজারে।
বর্তমানে ভোলার সদরের মাঝের চর ও দৌলতখানের চর মদনপুরে প্রায় ১৫০ একর জমিতে প্রায় ৩শ জন চাষী ক্যাপসিকাম চাষ করছেন।
এদিকে চাষীদের দাবি ক্যাপসিক্যাম চাষে সরকারি প্রশিক্ষণ ও সহযোগীতা পেলে ভোলার চরাঞ্চলে বিদেশী এ সবজি চাষের বিপ্লব ঘটানো পারবেন তারা। এছাড়াও ক্যাপসিকাম রপ্তানীতেও সুবিধা চান চাষীরা।প্রতিদিন ভোলার এসব চরাঞ্চলের ক্যাপসিকাম ভোলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকা,বরিশাল,লক্ষিপুর ও নোয়াখালিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রলার এবং লঞ্চযোগে নিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
এদিকে ভোলা জেলায় ক্যাপসিকাম চাষ বাড়াতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন ধরণের সহায়তা প্রদান করে আগামী বছর ক্যাপসিকাম চাষ ৪গুন বারানো হবে বলে জানিয়েন ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভোলা জেলায় গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১৫ হেক্টর,২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৩৭ হেক্টর এবং ২০২০-২১অর্থ বছরে অনেক বেড়ে হয়েছে৭০ হেক্টর। গত তিন বছরের সবচেয়ে বেশি হয়েছে এবছর ক্যাপসিকাম চাষ।
অপরদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন বলেন,প্রতিবছরই ক্যাপসিকাম সবজির চাষ ভোলায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।এখানের মাটি এই চাষের জন্য উপেযাগী। লাভজনক হোয়ায় কৃষকরা এই সবজি চাষের দিগে ঝুকছে বেশি।আমরা তাদেরকে সব সময় নানান ধরনের সহযোগীতা করে যাচ্ছি। ভোলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্নস্থানে যাচ্ছেভোলার ক্যাপসিকাম।