ভোলা নিউজ ২৪ ডটকম ।। দেশে বর্তমানে ১১ লাখ ৫৭ হাজার টন লবণ মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। প্রতি বছর ঈদুল আজহায় দেশব্যাপী কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য কম-বেশি এক লাখ টন লবণের প্রয়োজন হয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ঈদুল আজহায় কোরবানিকৃত পশুর চামড়ার সংখ্যার বিপরীতে লবণের চাহিদা ছিল ৮১ হাজার ৮২০ টন। ফলে মজুদকৃত লবণ দিয়ে এবারের ঈদুল আজহার চাহিদা মিটিয়ে আরো সাত থেকে আট মাসের লবণের চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে। অন্যদিকে আর মাত্র চার মাস পর অর্থাৎ নভেম্বর থেকে লবণ উৎপাদনের নতুন মৌসুম শুরু হবে। ফলে দেশে লবণের কোনো ধরনের ঘাটতির আশঙ্কা নেই বলে বিসিক জানিয়েছে।
বিসিক জানিয়েছে, এবারের ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য দেশব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে দেশের আটটি লবণ জোনে ১৮৬টি নিবন্ধিত লবণ মিলে পুরোদমে লবণ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় চারটি, নারায়ণগঞ্জে ৩৪টি, চাঁদপুরে দুটি, চট্টগ্রামে ৫৭টি, পটিয়ায় ৩৪টি, কক্সবাজারে ৩৫টি, খুলনায় আটটি এবং ঝালকাঠিতে ১২টি মিল চালু রয়েছে। চালু লবণ মিলগুলোর মাসিক গড় উৎপাদন ক্ষমতা তিন লাখ ৪০ হাজার টন হলেও বাজারের চাহিদা অনুযায়ী মিলগুলো লবণ উৎপাদন করে থাকে।
এদিকে ঈদুল আজহায় সার্বিক লবণ উৎপাদন ও সরবরাহ পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য বিসিক আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে। লবণ জোনগুলোতে অবস্থিত বিসিক কার্যালয়, আঞ্চলিক কার্যালয় এবং প্রধান কার্যালয়ে পৃথক কমিটি গঠন করে তিন স্তরবিশিষ্ট মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করেছে বিসিক। এসব কমিটি মাঠ পর্যায়ে লবণের মজুদ, চলাচল ও মূল্য সংক্রান্ত তথ্যাদি নিয়মিত সংগ্রহ করে লবণের সাপ্লাই চেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। এ উপলক্ষে বিসিক প্রধান কার্যালয়ে এরই মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। লবণ সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়ে তথ্যের জন্য ০২-৯৫৭৩৫০৫ (ল্যান্ড)/ ০১৯১১-৮৩৮২০০ (সেলফোন) নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিসিকের জেলা কার্যালয়গুলোর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলার বিপণন কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলাভিত্তিক ডিলার ও পাইকারি লবণ বিক্রেতাদের মোবাইল ফোন নম্বরসহ তালিকা করা হয়েছে। এ তালিকা ঈদের আগেই এতিমখানা, মাদ্রাসা, মসজিদ, স্কুল-কলেজ, হাট-বাজার ও ইউনিয়ন পরিষদসহ কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে সরবরাহ করা হবে। সুতরাং লবণ নিয়ে কোনো কারসাজির সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে বিসিক।
