ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট॥ পৃথক দুটি মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন ঢাকার দুটি আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান ও ঢাকার মহানগর হাকিম নুর নবী গ্রেফতারি এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে না পারায় তার আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করেন।
বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান খালেদার সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে বিচারক খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ শুনানির কার্যক্রম শেষ করে আগামী ১৯ অক্টোবর আসামিদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
এ মামলায় অপর দুই আসামি প্রাক্তন এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। এদিন তারা জামিন বর্ধিত করার আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা করা হয়।
মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
অপর দিকে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মানচিত্র ও জাতীয় পতাকাকে অবমাননার অভিযোগে ২০১৬ সালে করা মানহানির এক মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার মহানগর হাকিম নুর নবী।
মামলার বাদী এ বি সিদ্দিক বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর আদালত খালেদা জিয়াকে ৫ অক্টোবর হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেদিনও তিনি আদালতে হাজির হননি। বৃহস্পতিবার আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে এই মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। আদালত তেজগাঁও থানা-পুলিশকে ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও থানার পুলিশ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে প্রয়াত জিয়াউর রহমানকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য আবেদন করা হয়। ২২ মার্চ উক্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।