স্টাফ রিপোর্টার,ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। মাদক সেবনে বাধা প্রদান করায় ভোলা কম্পিউটার এর ব্যবসয়ী আব্দুল্লার উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। বুধবার বিকালে ধনিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বালিয়া কান্দি ইউসুফ ডাক্তার বাড়ীতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় স্থানীয়রা আহত অবস্থায় আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ঘটনায় ভোলা সদর থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়। প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়,বুধবার বিকালে আব্দুল্লাহ তার গ্রামের বাড়ী ধনিয়া ইউনিয়নের বালিয়া কান্দি যায়। সেখানে বাড়ী সিমানের মধ্যে প্রবেশ করে একদল উঠতী বয়সী তরুন করোনার মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে সেখানে বসে মাদক গ্রহন করছিলো। তখন তিনি তাদেরকে ডাক দিয়ে স্থান ত্যাগ করে বাড়ীতে চেলে যেতে বলেন। কিন্তুু তারা তার কথা না শুনে তাকে প্রথমে মারধরকার জন্য তেড়ে আসে। পরে এক পর্যায়ে ঐ তরুনারা জেলা প্রশাসন কার্যলয়ের কর্মচারী তরিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে বাহার,তাজল ইসলাম,এমরান সহ ১০ থেকে ১২ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র সন্ত্র নিয়ে এসে আব্দুল্লাহকে মারধর করে ব্যাপক ভাবে আহত করে। পরে এক পর্যায়ে তাদের হাত থেকে স্থানীয়রা এসে আব্দুল্লাহকে রক্ষা করে। পরে তিনি বাসার মধ্যে আশ্রয় নিয়ে জ্ঞান হারায়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী এসে তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এই ঘটানায় ব্যাবসায়ী আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের জানায়, আমি আমার গ্রামের বাড়ীতে দীর্ঘদিন পরে গেছি। যেয়ে দেখি একদল তরুন তারা আমার বাড়ীর মধ্যে প্রবেশ করে মাদক গ্রহন করছিলো। আমি তাদের ডাক দিলে তারা তরিকুল ইসলামকে নিয়ে এসে আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার উপড় চওড়া হয়ে আমাকে মারধর করে আহত করে। আমি এই ঘটনার জন্য তরিকুল ইসলাম ও তার দোষরদের শাস্তি দাবী করছি।
এই ঘটনায় তরিকুল ইসলাম জানায়,আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পন্ন ভিত্তিহীন আমি তার কাছে টাকা পাই তা চাইতে গিয়েছিলাম । কিন্তুু কোন উত্তর না দিয়ে আমাকে দেখে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে।এক পর্যায়ে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে । তদন্ত হলেই প্রমান হবে বলে তিনি জানান।
ভোলা থানা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানায়, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইন আনুক ব্যবস্থা নেয়া হবে।