স্টাফ রিপোর্টার ॥ জমি জমা নিয়ে বিরোধ ভাই আর বোনের মাঝে। শত্রুতা মিটানো হয়েছে লাউ গাছের সাথে। লাউ গাছ উপড়ে ফেলে বোনের কাছে বিক্রি করা জমি অবৈধভাবে দখলের পায়তারা করছে ভাই ইসমাইল। গত বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের কালিশুরা (কালিকৃত্তি) গ্রামে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে বোনের কাছে বিক্রি করা জমি বেদখল করার উদ্দেশ্যে লাউ ক্ষেত বিনষ্ট করা হয়। বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষে মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও দলিল সূত্রে জানা যায়, ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের কালিশুরা গ্রামের কালিকৃত্তি পোলগোড়া এলাকার সাহেব আলী সর্দারের স্ত্রী রিজিয়া বেগমের কাছে ভাই ইসমাইল গুলি মৌজায় সাবেক ৪৬৮নং এসএ খতিয়ানের ১৭৪৫ ও ১৭৮৭নং দাগে ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসের ৫৯৩৪নং দলিলে থেকে ২৪ শতক জমি বিক্রি করে। এই জমি ইসমাইল তার মাতা আনোয়ারা বেগম থেকে ২০১৪ সালের ১১ অক্টোবর মাসে ৬৬৭১নং হেবা (দান) দলিল সুত্রে প্রাপ্ত হয়। জমি ক্রয় করার পর থেকে রিজিয়া ও তার পরিবার জমি ভোগ দখল করে আসলেও গত দুই মাস আগে জমিতে লাগানো লাউ ক্ষেত থেকে লাউ নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাগিনা শরীফের সাথে তার মেঝ মামা ইয়াকুরের সাথে ঝগড়া বাধে। এই বিষয়টি নিয়ে ইয়াকুব ও তার ভাই জমি বিক্রেতা ইসমাইল, আবদুল হক, শাজাহান একজোট হয়ে বোনকে জমি ভোগ-দখল করতে দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়। পরে তারা বোন রাজিয়ার কাছে বিক্রি করা জমি থেকে রাজিয়ার পরিবারকে উৎখাত ও অবৈধভাবে জবর দখল করার চেষ্টা চালায়। বিষয়টি নিয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় সাধারন ডায়রী করা হয় এবং স্থানীয়ভাবে শালিশ বিচারের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে বিভিন্নভাবে জমিটি বেদখল করতে উঠে পড়ে লাগে ভাই ইসমাইল গং। জমি বিক্রি করেনি, অন্য দাগে করেছি ইত্যাদি বলে ১৭৪৫ ও ১৭৮৭নং দাগে রিজিয়ার ভোগ দখলীয় জমি বেদখল করার চেষ্টা করে চালায়। ওই জমিতে রিজিয়ার স্বামী সাহেব আলী বা তার পরিবারের কেউ গেলে ইসমাইল ও তার অন্য ভাইয়েরা এবং তাদের পরিবার অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে আসছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রিজিয়ার ছেলে শরিফ ওই বিরোধীয় জমির পাশের নিজ মালিকানা জমিতে গেলে ইসমাইলের পরিবার শরিফকে গালমন্দ করে এবং মারধর করতে ছুটে আসে। আত্বরক্ষার্থে শরিফ পালিয়ে যায়। ওই দিন সন্ধ্যার দিকে আবদুল হকের ছেলে মান্নান লাউ ক্ষেতে সব কয়টি লাউ গাছ উপড়ে ফেলে দেয়। পরে উভয়পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করলে স্থানীয়রা উভয় পক্ষকে শান্ত করে। এদিকে অভিযুক্ত ইসমাইল ও মান্নান জানান যে, রিজিয়ার কাছে এই জমি বিক্রি করা হয়নি, তাদের কাছে বর্গা দেওয়া হয়েছে। আর এই লাউ গাছের চারা আমরা বিনষ্ট করিনি। আমাদের উপর দোষ চাপাতে সাহেব আলি ও তার পরিবার উঠে পরে লেগেছে। এদিকে জমির মালিক রিজিয়ার স্বামী সাহেব আলি জানান যে, আমাদের জমি বেদখল করার জন্য ইসমাইল ও তার ভাইয়েরা বিভিন্ন ভাবে পায়তারা করে যাচ্ছে। আমাদের নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছে। আমি চেয়ারম্যান সাহেব সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের বিষয়টি জানিয়েছি। তারা করোনা ভাইরাস ঝামেলা মিটলে ব্যাবস্থা নিবে বলে জানিয়েছেন।