চরফ্যাশনে বাল্য বিবাহ পড়ানোয় কাজির ৭মাসের কারাদ- ও ৩জনকে জরিমানা

0
279

এআর সোহেব চৌধুরী,চরফ্যাশন প্রতিনিধি,ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় বাল্য বিবাহ পড়ানোর অপরাধে কাজি মাওলানা মোঃ রুহুল আমিন (৫০) কে ৭ মাসের কারাদ-,কনের চাচা জয়নাল আবেদিনকে ২৫ হাজার ও বরের মামা মজিবুল হককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গতকাল বুধবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিনের ভ্রাম্যমাণ আদালত এ দ- দেন। দন্ডপ্রাপ্ত কাজি মাদ্রাজ ইউনিয়নের হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক বলে যানা যায়। কাজি মাওলানা রুহুল আমিন গতকাল বুধবার (১১মার্চ) চর আফজাল ২নং ওয়ার্ড কাদির মাস্টার বাড়িতে বেলা ৩টার সময় ১০ম শ্রেণীর এক ছাত্রি (১৬) কে বিয়ে পড়ান। খবর পেয়ে ওই বিয়ে বাড়িতে ইউএনও রুহুল আমিন কয়েকজন পুলিশসহ উপজেলা শিশু ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রমিন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে পাঠালে পূর্ব খবর পেয়ে বর,কনে ও তাদের পরিবারের সবাই পালিয়ে যায়। তবে বিয়ের কাজি, বর ও কনের মামা ও চাচাকে আটক করে উপজেলায় নিয়ে আসা হয়। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরকচ্ছপিয়া গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডে এক কিশোরি মেয়েকে বাল্য বিবাহ দেওয়ার সময় ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে বার্তা পেয়ে দক্ষিণ আইচা থানাপুলিশ ওই কনে ও তার মা এবং মামাকে আটক করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভ্রাম্যমান আদালতে কনের মামা সালাউদ্দিনকে ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাল্য বিবাহ রোধে সরকারের এতো প্রচার প্রচারণা থাকার পরেও কেনো তা বন্ধ হচ্ছেনা এ বিষয়ে জানতে ভোলা বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এডভোকেট সাহাদাত সাহিনকে ফোন দিলে তিনি জানান, গ্রাম পর্যায়ের জনগন অসেচতন ও বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে না জানা এবং দারিদ্র পরিবারগুলো তাদের মেয়েদেরকে একটু ভালো সম্বোন্ধ পেলেই দ্রুত বিয়ে দিয়ে দেয়। এছাড়াও সামাজিক নিরাপত্তা যেমন ইভটিজিংসহ নানাভিদ কারনের কথা ভেবে অনেক সচেতন পরিবারও তাদের কন্যা সন্তানদের বিয়ে দিয়ে দেন। আমরা এজন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠিানে প্রচার ও সচেতনতা গড়ে তুলছি। ইিউএনও রুহুল আমিন জানান, চর কচ্ছপিয়ার বাল্যবিবাহের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ধারায় কনের মামা সালাউদ্দিনকে ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মাদ্রাজ ইউনিয়নে বাল্য বিবাহ পড়ানোর দায়ে কাজিকে ৭মাসের কারাদ- ও বাল্যবিবাহের সাথে জড়িত থাকায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ধারায় কনে ও বরের স্বজনদের মোট ৫৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও জাল জন্ম সনদ তৈরীর অপরাধে বর আল আমিন ও বরের পিতা আবুল হাসেম মাঝি এবং কনের পিতা হারুনসহ তার স্ত্রীর বিরূদ্ধে জালিয়াতির মামলা করা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY