আদিল হোসেন তপু।। ভোলায় বাল্য বিয়ের কারন ও প্রতিকার বিষয়ক গোল টেবিল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) জেলা প্রশাসক এর সম্মেলন কক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন এর আয়োজনে ইউনিসেফ এর সহযোগীতায় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো: মাহামুদুর রহমান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মৃধা মোজাহিদুল ইসলাম এর সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুন আল ফারুক,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসিন আল ফারুক, ইউনিসেফ’র সিফরডি অফিসার সনজিত কুমার দাস,প্লানিং এন্ড মনিটরিং অফিসার আল মুমিন মো.গোলাম সারওয়ার,ইউনিসেফ এর নিউট্রেশন অফিসার রমাসাহা,ডা.সাবরিনা,পরিবাব পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মাহামুদুল হক আযাদ, কোস্ট ট্রাস্ট আইইসিএম প্রকল্পের প্রকল্প সম্মনয়কারী মো: মিজানুর রহমান, চ্যানেল-২৪ জেলা প্রতিনিধি আদিল হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চলনা করেন এলজিসি প্রকল্পের জেলা সম্মনয়কারী আব্দুস সালাম। আলোচনায় বক্তারা বলেন,সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা গেলে সমাজ থেকে বাল্য বিয়ে রোধ করা সম্ভব হবে। সামাজিক অবক্ষয় এর কারনে অভিবাবকরা তাদের কন্যা সন্তানদের নিয়ে চিন্তায় থাকে ফলে বাল্য বিয়ে দিতে বাদ্ধ হচ্ছে। অনেক সময় বাল্য বিয়ে দেয়ার জন্য রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করা হয়। এগুলো বন্ধ করতে হবে। সকললের সম্মলিত প্রচেষ্টা থাকলে আমরা বাল্য বিয়ের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পারবো।
এসময় বক্তারা আরো বলেন, বাল্য বিয়ে রোধে ‘বাল্য বিয়ে নিরোধ-২০১৭’ আইন আছে তার সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। অভিভাবকদের আরো সচেতন করতে হবে। বিশেষ করে কিশোর-কিশোরী কাবের কার্যক্রমকে আরো বেগবান করতে হবে। তাদেরকে বিভিন্ন প্রশিক্ষনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ঈমাম কাজীদের বয়স না হলে কোন ধরনে বিয়ে না পরানোর জন্য বলা হয়েছে।কোরআন ও হাদীসের আলোকে মসজিদে আলোচনা করা কথা বলা হয়।