যারা মাদক সেবন করবে তাদের স্থান জেলে ভোলায় ডিআইজি শফিকুল ইসলাম

0
438

স্টাফ রিপোর্টা।। বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেছেন, যারা মাদক সেবন করবে তাদের স্থান জেলে। তারা দেশ ও জাতির শত্রু। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে মাদক নির্মূল করতে হবে। নয়তো উন্নয়নের ধারা ব্যাহত হবে। যদি আপনার আশে পাশে কেউ মাদক সেবন ও বিক্রির সাথে জড়িত থাকে তবে পুলিশকে তথ্য দিন। আপনার সন্তান তো জেলায় থাকে না, কিংবা আপনার সন্তান তো ছোট এখনো ভেবে অবহেলা করবেন না। আপনার সন্তান যেখানেই থাকুক না কেন মাদকের থাবায় পড়লে তার জীবন ধংস হয়ে যাবে। মাদক ব্যবসায়ীদের পুলিশের হাতে তুলে দেবেন। মনে রাখবেন মাদকে না বলতে হবে। আর যদি কোন মাদক ব্যবসায়ী স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায় তবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পুলিশ সাহায্য করবে। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে।

১৫ জুলাই (সোমবার) দুপুরে ভোলা পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে ভোলাকে মাদক ও জঙ্গিবাদ মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে জেলা পুলিশের আয়োজনে ১৭০ মাদক সেবী ও মাদক ব্যবসায়ীকে নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা হাজারো মানুষের কাছে মাদক পৌছেছে। এদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার মধ্য দিয়ে অনেকে মানুষ মাদকের কালো থাবার থেকে রক্ষা পাবে।
তিনি আরো বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং ও বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে না পারলে দেশের উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ হবে। তাই দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া ভোলায় নৌপথে মাদক যেন না আসতে পারে তাই সকল ব্যবসায়ীকে একটু সতর্ক থাকার আহবানও জানান তিনি। এসময় তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা জীবনের শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারের সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রাসেলুর রহমানসহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে ৮ মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী প্রধান অতিথির হাতে ফুল দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে এ সময় তাদের হাতে একটি করে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়।

উলেখ্য, ভোলা জেলায় ১৭০ জন মাদক সেবী ও ব্যবসায়ী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। এর মধ্যে ৩৮ জনকে পুনর্বাসন করার পাশাপাশি ৪৩ জনকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

LEAVE A REPLY