আওয়ামী লীগের প্রতিদন্দী আওয়ামী লীগই

0
516

মোঃ আফজাল হোসেন,ভোলার তজুমদ্দনি থেকে ॥ আগামী ৩১মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সাধারন ভোটারদের মাঝে তেমন একটা আগ্রহ না থাকলেও ভোলার তজুমদ্দিন এবং লালমোহনে আওয়ামী লীগের প্রতিদন্দী আওয়ামী লীগই। হামলা আর ভাংচুরের ঘটনায় কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ হারাচ্ছেন ভোটাররা। তবে নিরাপত্তার কমতি থাকবে না বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

ভোলার তজুমদ্দিনে রাস্তার উপর কিছু পোস্টার শোভা পাচ্ছে।

দ্বীপজেলা ভোলার ৭টি উপজেলা থাকলেও ইতিমধ্যেই ৫টি উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বীনা প্রতিদন্দীতায় নির্বাচীত হয়েছেন আর ২টির মধ্যে গত ২৪মার্চ বোরহানউদ্দিনে শুধু ভাইস-চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর দৌলতখানে শুধু ভাইস-চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন এবং চেয়ারম্যানসহ সকল পদে জেলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ৩১মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে জেলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলাতেই চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হবে। আর এই দুটি উপজেলায় নৌকার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল হক দেওয়ান এবং অপর প্রার্থী হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন দুলাল যিনি আনারস মার্কা নিয়ে প্রতিদন্দীতা করছেন। এই উপজেলায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই কয়েক দফায় হামলা,নির্বাচনী অফিস ভাংচুর এর মত ঘটনা ঘটেছে। থেমে থেমে অব্যাহত রয়েছে হামলা ও ভাংচুর আর পোস্টার ছিড়ে ফেলার ঘটনা। ইতমধ্যেই এসব ঘঁনায় উভয় পক্ষ থেকে ৪টি মামলা করা হয়েছে। তবে এসব মামলায় তেমন কোন অগ্রগতি না থাকায় হামলা আর নির্বাচনী অফিস ভাংচুর এর মত ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই মঙ্গল সিকদার,কাজিকাটা,চাচড়া,ফকিরহাট,বউ বাজার,আনন্দ বাজার,খাশেরহাট এবং এছাড়াও বিক্ষিপ্ত ভাবে প্রায় স্থানে হামলার ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় তজুমদ্দিন থানায় মামলা হলেও পুলিশের তেমন কোন ততপড়তা নেই বলে অভিযোগ প্রার্থীদের।

এসব বিষয় আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করা সতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য মোশারেফ হোসেন দুলাল অভিযোগ করেন,তার প্রচার-প্রচারনায় বাঁধা দিচ্ছে। প্রথসভায় হামলা,নির্বাচনী অফিস ভাংচুর,কর্মীদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে অন্তত শতাধিক কর্মীকে আহত করা হয়েছে। এসব বিষয় থানায় মামলা দেয়া হলেও পুলিশের কোন ততপড়তা না থাকায় নৌকার কর্মীরা আরো বেপারোয়া হয়ে উঠেছে। পুলিশ আমাকে মিছিল মিটিং করতে না করলেও নৌকার প্রাথীকে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। আজ ২৭মার্চ উজেলার শম্ভুপুর মুচিবাড়ির মোড়ে মিছিল করেছে। থানার ওসিকে বলেও কোন লাভ হচ্ছে না। ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে পারলে আমি আশা করছি আমিই নির্বাচিত হব। তবে অন্য উপজেলা সংলগ্ন ও চরজহিরুদ্দিনসহ অন্তত ২০টি কেন্দ্র ঝুকির্পু এর মধ্যেই ৯টি কেন্দ্র বেশি ঝুকিপূর্ন। বহিরাগতরা এলাকায় এসে ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে।

এদিকে নৌকার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ফজলুল হক দেওয়ান বলেন,আমি সকল নেতাকর্মীদেরকে বলেছি তোমরা যদি এসব ঝামেলায় জড়াও তা হলে আমি নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হব। আমি চাইনা আমার কোন নেতাকর্মী কোন ঝামেলায় জড়িয়ে পড়–ক। তবে আশা করছি ৩১ মার্চ নির্বাচন শান্তিপুর্ন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে এবং ঐ নির্বাচনে আমি শতভাগ বিজয়ী হব।

ভোলার তজুমদ্দিন থানার ওসি মোঃ ফারুক আহমেদ বলেন,আমরা সতর্ক আছি। কোন ধরনের আইনশৃংখলার অবনতি ঘটে এমন কাজ হতে দিব না। একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটসহ আমরা সব সময় টহল দিচ্ছি। আশা করছি ৩১মার্চ শান্তিপুর্ন পরিবেশে ভোট হবে।

অপরদিকে সাধারন ভোটারদের সাথে আলাপকালে নতুন ভোটার রাকিব উদ্দিন বলেন,আমরা চাই আমার ভোট আমি নিজেই দিব। সেটা নিশ্চিত হলেই কেন্দ্রে ভোট দিতে যাব। এছাড়া ৮০ বছরের বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম বলেন,শেষ বয়সে আমার ভোটটা কি দিতে পারবো কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। গত সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। তাই কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ নেই।

LEAVE A REPLY