গোপাল চন্দ্র দে।। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল সেবা (পিপিএম) পদক পাওয়ায় ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মো: মোকতার হোসেনকে সম্মাননা জানিয়েছে ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ,ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশন ও সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, সদর উপজেলা ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশন এবং কাচিয়া কলনী সেবা সংঘ স্বরস্বত্বী পূজা মন্ডপ।
আজ সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় ভোলা শহরের কাচিয়া কলেনী স্বরস্বত্বী পূজা মন্ডপে এসময় সংঘঠনের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার মো: মোকতার হোসেনকে শুভেচ্ছা স্মারক ও ফুল তুলে দিয়ে সংবর্ধনা জানান সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দরা।
এসময় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় যাতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলো ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলো সভায় উপস্থিত ছিলো ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রফেসর দুলাল চন্দ্র ঘোষ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সম্পাদক ও ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশনের জেলা সমন্ময়কারী গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি বিকাশ চন্দ্র মজুমদার, শিবু কর্মকার, এ্যাড. জয়ন্ত বিশ্বাস, ভোলা সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শান্ত ঘোষ,সম্পাদক জয় দে, যুগ্ম সম্পাদক রাজন সাহা,ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশন সদর উপজেলা কমিটির আহবায়ক বাসুদেব ভক্ত সদস্য সচিব রনজীত ব্যাপারী, কাচিয়া কলনী সেবা সংঘ স্বরস্বত্বী পূজা মন্ডপের সভাপতি গৌতম কুমার সিংহ সম্পাদক মিঠু দে সহ প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ২০১৬ সালে ভোলায় পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন মোকতার হোসেন। ভোলায় যোগদানের পর মাদক নির্মূল্যে কঠোর অবস্থানে থাকেন তিনি।ভোলার প্রায় সিংহভাগ মাদক ব্যবসায়ীরাই জেলে। অনেকে আত্মসমার্পনও করেছে। এই পুলিশ সুপার হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার ব্যাপারেও তৎপর। তিনি যোগ্য একজন পুলিশ সুপার। কমিউনিটি পুলিশিং সহ জনসম্পৃক্ত বিভিন্ন কাজ করে তিনি ভোলার মানুষের দৃষ্টি কেরেছেন। তার যোগ্য নেতৃত্বে হিন্দু সম্প্রদায় নির্বিঘেœ তাদের সকল ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারছে। আইন শৃঙ্খলা জনিত কোন সমস্যাই থাকছে না ।
উল্লেখ্য,৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজারবাগে আয়োজিত জাতীয় পুলিশ সপ্তাহ-২০১৮’র অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোলা জেলা পুলিশ সুপারের হাতে এই প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল সেবা (পিপিএম) পদক তুলে দেন।