ভোলায় ককটেল বিস্ফোরনে থানায় মামলা, বিরোধী শিবিরে গ্রেফতার আতংক

0
363

মোঃ আফজাল হোসেন ॥ ভোলা শহরের খেয়াঘাট এলাকায় ককটলে হামলার ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানায় বিএনপির নেতাকর্মীসহ আরো অঞ্জাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে গ্রেফতারী আতংক দেখা দিয়েছে।

মামলার বিবরন ও অভিযোগে জানাযায়,গতকাল শুক্রবার রাত ১০টায় ভোলা শহরের খেয়াঘাট রোডের ৩১ নং চরনোয়াবদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ( নমোস্কুল) এর সামনে আওয়ামী লীগ এর নির্বাচনী টি স্টল এ হামলা হয়,জাবির হাসনাঈন ডিকেন এর অফিসের ওয়াল ও দরজায় ৩টি ককটেল ছুড়ে মারার ঘঁনা ঘটেছে। তবে এঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এঘটনার পর পরই আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও পৌর মেয়র এবং জেলা যুবলীগ সভাপদি মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। কে বা কারা এই ককটেল মেরেছে তা কেউ না দেখলেও আতংক দেখা দিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে। এঘটনার পর পরই গভীর রাত এবং দিনে পুলিশ ভোলা শহরের বিএনপির নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িতে হানা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জেলা যুবদল এর সাবেক সদস্য সচিব মোঃ কবির হোসেন এর চরনোয়াবাদস্থ্য বাসায় রাতে পুলিশ হানা দেয়। তবে ঐ সময় বাসায় তাকে পুলিশ পায়নি। সকালে পুনরায় ডিবি পুলিশ হানা দেয় পুনরায় তার বাসায়।

এছাড়া আরো বেশ কয়েকজন এর বাসা-বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ হানা দেয়ার অভিযোগ করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। গতরাতে অনেক নেতাকর্মীরা নিজ বাসায় ঘুমায়নি বলে জানান তারা। রাতে ঘটঁনাস্থলে গেলে স্থানীয়রা জানান,কে বা কারা ককটেল মেরেছে তা কেউ দেখেনি,তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র কওে বিরোধী শিবিরকে দমন করতেই এমনটা করা হতে পাওে বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেন।

এঘটনায় মো: জাবির হাসনাঈন ডিকেন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা নাম্বার ৪৭। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে,জেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব মোঃ কবির হোসেন (কুট্রি কবির)কে। এছাড়া জেলা শ্রমিক দল সভাপতি সহীদুল ইসলাম মানিক,মোঃ সবুজ,মোঃ মনির,মোঃ ছগির,মো: আলাউদ্দিন,মোঃ আরসাদ খোকন। এছাড়া আরো ১০/১৫জনকে অঞ্জাত আসামী করা হয়েছে।

এদিকে এবিষয় ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মোঃ ছগির মিয়া আসামীদের নাম না বল্লেও বলেন, থানায় জাবির হাসনাঈন ডিকেনকে বাদী করে মামলা নেয়া হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের জন্য চেস্টা করা হচ্ছে। যে কোন ভাবেই হোক আসামীদেও গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর আছে।

 

LEAVE A REPLY