আরিফ উদ্দিন রনি,ভোলা ॥
ভোলা ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ভোলা ২ আসনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফন্টের প্রার্থী আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভোলা জেলা বিএনপি। সোমবার বিকেলে ভোলা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মিদের কতৃক দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন বিএনপি নেতা র্কমি ও সমর্থকদের উপর হামলা, বিএনপি নেতার্কমি ও সমর্থকদের ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সংম্মেলনে ভোলা ২ ( আসন-১১৬) এর বিএনপি-ঐক্যফন্টের প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভোলা জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হারুনর রশিদ ট্রুম্যান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষে হারুনর রশিদ ট্রুম্যান বলেন , বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহিম ঢাকা থেকে ভোলা আসার পথে ১৬ ডিসেম্বর সকালে হাফিজ ইব্রাহিমকে বহনকারী এমভি তাশরিফ- ৩ লঞ্চ বোরহান উদ্দিন উপজেলার হাকিমুদ্দিন ঘাটে আসলে টবগি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল চৌধূরির নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। পরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনি লঞ্চ ঘাটে অবস্থান নিলে হামলাকারিরা ঘাট ছেরে চলে গিয়ে স্থানিয় বিএনপি নেতা কর্মিদের বাড়ি ঘরে হামলা চালায়।এতে বেশ কয়েক জন আহত হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনির সহযোগিতায় তিনি বোরহানউদ্দিন পৌরসভার নিজ বাড়িতে আশ্রয় নেন। বাসায় আসার পর বাসার সামনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ,সেচ্ছাসেবকলীগের নেতার্কমিরা অবস্থান নিয়ে বাসা অবরোধ করে রেখেছে এবং দৌলতখান বোরহানউদ্দিনের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতা কর্মিদের বসত বাড়িতে গিয়ে হামলা ও ভাংচুর করছে। অথচ পুলিশ হামলাকারীদের কিছু না বলে সোমবার দুপুর প্রর্যন্ত প্রায় ৩০ জন বিএনপি নেতাকর্মিকে গ্রেফতার করেছে।
লিখিত বক্তব্যে নেতা কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে সুষ্ঠ নির্বাচনি পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভুয়া মামলায় কোন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও হয়রানী না করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়।
এসময় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক মাস্টার, সাবেক যুবদলের সভাপতি ইয়ারুল আলম লিটন ,জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক আবদুল কাদের সেলিম, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জামিল হোসেন ওয়াদুদ, সম্পাদক খন্দকার আল আমিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম , সম্পাদক আলআমিন হাওলাদার , সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, ১৬ ডিসেম্বর হাফিজ ইব্রাহিম তার নির্বাচনী এলাকায় আসলে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৪ সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।