ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেটঃ গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হাতি মুক্তিরাণীর ঘরে জন্ম নেয়া শাবকের নাম রাখা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসতিয়াক আহমদ সাফারি পার্ক পরিদর্শনে এসে প্রথম জন্ম নেয়া হস্তি শাবকের নামকরণ করেন বনমাধুরী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার মো. আনিসুর রহমান জানান, শুক্রবার দুপুরে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসতিয়াক আহমদ সাফারি পার্ক পরিদর্শনে আসেন। তিনি এ সাফারি পার্কের বিভিন্নস্থান ঘুরে দেখেন। এক পর্যায়ে তিনি হাতিশালায় যান। গত ২৭ আগস্ট রাতে শেল বাহাদুর-মুক্তিরাণী হাতির ঘরে জন্ম নেয়া মাদি শাবকটি দেখেন এবং শাবকের নাম রাখেন বনমাধুরী।
এর আগে দেশের কোন পার্ক বা চিড়িয়াখানায় আবদ্ধ পরিবেশে হস্তী শাবক প্রসবের তথ্য নেই। শাবকটির প্রসবকালীন ওজন প্রায় ৬০ কেজি। একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি সাধারণত চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার কেজি ওজন হয়। ১৮-২০ বছরের মধ্যে হাতি প্রজনন সক্ষম হয়। এদের গর্ভকালীন সময় ২০ থেকে ২২ মাস। সাধারণত চার-পাঁচ বছর পর একটি করে বাচ্চা প্রসব করে। হাতির সামনের দুই পায়ের মাঝখানে বক্ষদেশে স্তন থাকে। শাবক সাধারণত সাড়ে তিন থেকে চার বছর পর্যন্ত মায়ের দুধ পান করে। আবদ্ধ অবস্থায় হাতির গড় আয়ু ১০০ বছর।
২০১৩ সালে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে ছয়টি বন্যহাতি সংগ্রহ করে এ সাফারি পার্কে আনা হয়। গত ২১ আগস্ট শাবক জন্ম নেয়ার পর হাতির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় সাতটি। এর মধ্যে দুটি পুরুষ ও পাঁচটি মাদি। পুরুষ হাতি দুটির নাম শেল বাহাদুর এবং আমির বাহাদুর। মাদি হাতিদের নাম- মুক্তিরাণী, পূজারাণী, কুসুমমালা, বেলকলি ও বনমাধুরী।
পরিদর্শনকালে বন সংরক্ষক জাহিদুল কবির, ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দিন আকন, সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক সামসুল আজম উপস্থিত ছিলেন।