একজন বন্ধুকে বাচাঁতে আপ্রাণ চেষ্টা স্কুল বন্ধুদের।

0
1090

আরিফ উদ্দিন রনি : বন্ধু লিভার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু পথযাত্রী। তাই তাকে বাঁচাতে আর্থিক সাহায্যের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বন্ধুরা।দানবাক্স হাতে বন্ধুর চিকিৎসার টাকা সংগ্রহের জন্য শহরময় ঘুরছেন। ব্যক্তি থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠান সব জায়গায় যাচ্ছেন তারা। তারা স্বপ্ন বুনছেন বন্ধুকে বাঁচানোর। বন্ধু সুস্থ হয়ে প্রিয় সহরে ফিরবে এই প্রত্যাশা এখন তাদের।মহৎ এই কাজটি করছেন ভোলার বেশ কিছু বন্ধুরা সরকারি স্কুল ১৯৯৮ ব্যাচ শিক্ষার্থী উত্তম বিশসাস , নয়ন সেন, মোহাম্মদ রাজিব,সহিদুল, অনোয়ার পারভেজ, রুমান প্রমুখ।ঢাকা তে আছে আলামীন হোসেন ,ফোরকান, মিঠু ,জুয়েল ,সাকিব,  অমি, কবির, বাহার ,আশরাফ বাবু ,প্রদীপ রয়,মেহেদী মিঠু ।প্রদীপ ঢাকাতে বন্ধু কে দেখতে গিয়ে ফিরে এসে তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন । অর্থের অভাবে মৃত্যুর প্রহর গুণছেন স্কুলবন্ধু তুহিন। চিকিৎসকরা বলেছেন খুব তারাতারি লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করানো না গেলে তাকে আর বাঁচানো যাবে না। এরই মাঝে কেটে গেছে বেশ কয়েকটা দিন। পারিবারিকভাবে লিভারের ডোনার পাওয়া গেলেও সাহায্যের জন্য হাত পেতেও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করতে পারছেন না। বাঁচানোর দরকার তার ফুটফুটে শিশুটির মুখের দিকে তাকিয়ে, যাতে সে বুঝতে শেখার আগে যেন তার বাবাকে না হারায়। বাবার আদর স্নেহ থেকে বঞ্চিত না হয় । স্থানান্তর করতে পারলে তুহিন এ যাত্রায় বেঁচে যাবে। আর এ জন্য ব্যয় হবে প্রায় ৭০-৮০লাখ টাকা।কিন্তু তুহিনের পরিবার এতো টাকা জোগাড় করে চিকিৎসা চালানো সম্ভব না। তাই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি বন্ধুর জীবন বাঁচানোর জন্য।

তুহিনের মা জানান সংসারের একমাত্র কর্মক্ষম তুহিন। একটি ব্যবসা প্রতিষ্টান ছিল যেটা দিয়ে মোটামুটি সংসারটা ভালোই চলে যেত ,তার স্বামী অনেক দিন যাবত বেকার। বর্তমানে এই দোকানটি কর্মচারী মাধ্যমে পরিচালিত হয় প্রতিদিন ২৫০ টাকা ইনকাম হয় ।তা দিয়ে কোনো মতে সংসার চালানো বা তার চিকিৎসা খরচ বহন করা কোন মতেই সম্ভব নয়।
তুহিনের আরেক সহপাঠী বন্ধু উত্তম বিশসাস বলেন, বন্ধুর প্রাণ বাঁচানোর জন্য আমরা দান বাক্স হাতে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াব। আমরা আশা করছি বিত্তবান সবাই আমাদের এই উদ্যোগকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবেন। সবার একটু সহানুভূতি ও সাহায্য পেলেই অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে সম্ভাবনাময় একটি প্রাণ।উত্তম সমাজের স্বহৃদয়বান ব্যক্তির কাছেও সাহায্য পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন।
তুহিনের বন্ধু নয়ণ সেন জানান একজন পিতাই তার সন্তানের মায়া বোজে, কখনোই সে চায়না তার সন্তানকে ছেড়ে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে।পৃথিবীতে আমরা এসেছি আবার একদিন চলে যেতে হবে। যেতে হবে সকল বন্ধন ছিন্ন করে, সকল মায়া-মমতার জাল ছিড়ে। কিন্তু তাই বলে কি আমরা একটি অকাল মৃত্যুকে মেনে নিব? আমরা কি মুখ বুঝে সহ্য করব, আমার ভাই যখন রোগে বিছানায় পড়ে কাতরাবে? নাহ! বরং তাকে বাচাঁনোর জন্য সর্বস্ব দিয়ে লড়ে যাবো। ঠিক তেমনি একজন মেহেদী মিঠু বলেন আজ তার সাহায্যের বড়ই প্রয়োজন। আমরা কি তার পাশে দাঁড়াতে পারিনা? যার যা সাধ্য আছে তাই দিয়ে তার পাশে দাঁড়াতে পারি না? অর্থের অভাবে আমরা কি আমাদের এক সহযাত্রীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিবো? অথচ আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াসই পারে তাকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়ে আনতে। সাহায্য পাঠাতে অথবা মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে। মেহেদি মিঠু ০১৭১২৩৭৩৩৫৩ শহীদুল০১৭১২৬১০৬০১ উত্তম০১৭১২০০৯৩৪১ মহিবুল্লাহ ০১৭১৭৪৫৪২৪৬  ব্যাঙ্ক md rafiqul islam,  msa/808  islamibank bhola branch

 

LEAVE A REPLY