খাবারে নেশা মিশিয়ে অজ্ঞান করে চুরি 

0
42
ভোলা নিউজ২৪ডটকম,তজুমুদ্দিন প্রতিনিধি॥ ভোলার তজুমদ্দিনে রাতের খাবারের সাথে নেশা জাতীয়দ্রব্য অচেতন করে নগদ টাকা ও মোবাইলসহ ঘরের মালামাল করে নিয়ে যায় অজ্ঞাতনামা চোরেরা। এঘটনায় অচেতন ৫জনের মধ্যে ২ জনকে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বুধবার (১৩ জানুয়ারী) দিবাগত রাতে উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গোলকপুর গ্রামের কুট্টি মিয়া হাওলাদার বাড়ির জিয়াউল হক হাওলাদারের ঘরে রাতের খাবারের সাথে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা নেশা জাতীয়দ্রব্য মিশিয়ে দেন। পরে রাতের কোন এক সময় তাদের কেয়ারটেকারসহ পরিবারের ৬ সদস্যের মধ্যে ৫জন নেশা মেশানো খাবার খেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে দুষ্কৃতিকারীরা ঘরে ডুকে মোবালইল ফোন ও নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। পরে জিয়াউল হকের মেয়ে মুনিয়া ও স্ত্রী নুর জাহান বেগম টের পেয়ে ডাকচিৎকার দিলে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। অচেতনরা হলেন, মোঃ জিয়াউল হক হাওলাদার (৭০), তার কেয়ারটেকার আঃ মালেক (৬৫), মেয়ে সোনিয়া আক্তার (৩০), ছেলে সাইফুল ইসলাম দিপু (৩২) ও মেয়ের জামাই মোঃ শাহিন মাষ্টার (৩৫)। পরে স্থানীয়রা অচেতনদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে জিয়াউল হক হাওলাদার ও আঃ মালেককে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জিয়াউল হকের মেয়ে মুনিয়া জানান,রাতের খাবারের পরে সবাই ঘুমিয়ে যাই। হঠাৎ মাথা ঘুরায় ঘুমের ঘোরে আওয়াজ পাই কেউ ঘরে আছে চিৎকার দিলে লোকজন আসে তার পরে আমি আর কিছু জানি না।
জিয়াউল হকের স্ত্রী নুর জাহান বেগম বলেন,মেয়ের চিৎকার কানে আসে ঘুম চোখে আমি ও চিৎকার দেই।বাড়ির পাশের লোকজন আসে হাসপাতালে নিয়ে আসে আমাদের।
প্রতিবেশি জাহিদ খান বলেন,মাঝ রাতে হঠাৎ জিয়াউল হকের স্ত্রী ও মেয়ের চিৎকার শুনে ছুটে যাই কাও কে দেখিনি কিন্তু ঘরের মালামাল এদিক সেদিক পরে ছিলো।
তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল হক বলেন, ঘটনা শুনার পর ঘটনাস্থল পরির্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

LEAVE A REPLY