ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাক্ষ্য দিয়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম কোনো সাক্ষী বলেনি বলে আদালতে যুক্তিতর্ক শুনানিতে বলেছেন তারেক রহমানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আসামিপক্ষের আইনজীবী এ কে এম আখতার হোসেন।
আজ সোমবার পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে তারেক রহমানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী এ কে এম আখতার হোসেন প্রায় ঘণ্টাব্যাপী যুক্তিতর্ক শুনানি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমানের সহকারী আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামল সাংবাদিকদের জানান, আজ আদালতের প্রথমকার্যে কারাগারে থাকা আসামি মাওলানা আব্দুল হান্নান ওরফে সাব্বিরের পক্ষে অবশিষ্ট যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী মো. মাঈনুদ্দিন মিয়া। এর পরে তারেক রহমানের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়।
তারেক রহমানের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনে আইনজীবী আখতার হোসেন বলেন, মামলার এহাজারে তারেক রহমানের নাম ছিল না। কোনো সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়ে তারেক রহমানের নাম বলেনি। তদন্ত কর্মকর্তা ফজলুল কবির প্রথম যে চার্জশিট( অভিযোগপত্র) দাখিল করেন সেখানেও তারেক রহমানের নাম নেই। ওই অভিযোগপত্র দাখিলের আগে মুফতি হান্নান মামলাটিতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেখানেও তিনি তারেক রহমানের নাম বলেননি।
তারেকের আইনজীবী আরো বলেন, মামলাটি অধিকতর তদন্তে যাওয়ার পর মুফতি হান্নানকে দিয়ে পুনরায় একটি স্বীকারোক্তি করানো হয়। যেখানে তারেক রহমানের নাম আসে। মুফতি হান্নানের প্রথম স্বীকারোক্তিতে যেখানে তিনি তারেক রহমানের নাম বলেননি তাই পুনরায় স্বীকারোক্তিতে তার নাম আসা যুক্তিসঙ্গত নয়।
এরপর ব্চিারক আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত যুক্তি উপস্থাপন মুলতবি রাখেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েক শতাধিক। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও শ্রবণশক্তি হারান।
ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানের গত বছর ১২ এপ্রিল ফাঁসি কার্যকর করা হয়।