ভোলা নিউজ ২৪ ডটকম ।। নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় গত ৬ দিনের টানা বর্ষণ ও অস্বাভাবিক জোয়ারে পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে ২০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে দিন কাটাচ্ছে। বৈরীপূর্ণ আবহাওয়ায় জোয়ারের পানি বাড়তে থাকায় প্লাবিত হয়ে ভেসে গেছে মানুষের বসতবাড়ি, পুকুরের মাছ, নষ্ট হয়েছে পাকা আউস ধান। এসব এলাকার প্রায় ৫০ হাজারের ও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ, সোনাদিয়া, তমরদ্দি, সূখচর, চরঈশ্বর, নলচিরা, হরণী ও চানন্দী ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসময় জোয়ারের স্রোতে অনেক পরিবারের বসতঘর ভেসে যায়। অনেক পরিবারকে বেড়িবাঁধের ওপরে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে দেখা যায়।
জানা যায়, এ বছর বেড়িবাঁধ মেরামত না করায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পরবর্তী সময় এসব এলাকা জোয়ারের পানিতে সহজে প্লাবিত হচ্ছে।
নিঝুম দ্বীপ বনের বিট কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন, পর্যটন এলাকা নিঝুম দ্বীপে জোয়ারের পানি উঠে ৫ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বনের মধ্যে বসবাস করা হরিণের দল লোকালয়ে চলে এসেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, দ্রুত বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন বলে জানান।
নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাছির উদ্দিন জানান, স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০টি গ্রামে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে।
চরঈশ্বর, সুখ চর, নলচিরা, শলাদিয়া দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে। বেড়িবাঁধ নির্মাণে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ৪টি ইউনিয়নে কাজ করার জন্য অনুমতি প্রদান করেছে। জোয়ারের পানি নেমে গেলে আমরা বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করব।