চরফ্যাশন প্রতিনিধি,ভোলা নিউজ২৪ডটকম ।। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন চর কুকরি-মুকরি ইউনিয়নে বেড়িবাঁধের দশটি পয়েন্টে স্লুইসগেট না থাকায় টানা বর্ষন আর মেঘনা, তেতুলিয়ার জোয়ারে পানিবন্দি গ্রাম। কর্মহীন হয়ে পড়েছে দারিদ্র্য মানুষ।
এছাড়াও ঢালচর,পাতিলাসহ অন্যান্য চরাঞ্চলগুলোয় গবাদি পশু, মাছের ঘের, সবজির খামারসহ খাল বিল জলাশয় গুলোও ডুবে গেছে ভারি বর্ষন ও জোয়ারের পানিতে। এদিকে চরফ্যাশন উপজেলার উপকূলবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোতে ভেসে গেছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলী জমী।
জানা গেছে ঢালচর ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ না থাকায় পানি বন্দি হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজারো জেলে ও ব্যবসায়ীরা।
এছাড়াও কুকরি মুকরি ইউনিয়নে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর সাথে বেড়িবাঁধের সাথে সংযুক্ত খালে ১০টি স্লুইসগেট নির্মাণের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা নির্মাণ হয়নি।
বেড়িবাঁধের ওই ১০টি পয়েন্ট দিয়ে এখন খুব সহজেই বৃষ্টির পানি ও উজানের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে পুরো কুকরি মুকরি ইউনিয়ন৷ আর টানা বর্ষণ ও জোয়ার-ভাটার পানিতে নষ্ট হয়েছে নবনির্মিত অধিকাংশ সড়ক, ফসলি জমি এবং মাছের ঘেরসহ কৃষকের সবজি খামার৷
অতি বৃষ্টি ও বন্যার ফলে চরাঞ্চলগুলোয় মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা এখন দূর্ভোগে পরিনত হয়েছে।
কুকরি-মুকরিসহ অন্যান্য চরাঞ্চলগুলোতে টেকসই বেড়িবাঁধের পাশাপাশি দ্রুত স্লুইসগেট নির্মাণ করতে স্থানিয়রা দাবি জানান৷
কুকরি মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন মুঠোফোনে জানান, বেড়িবাঁধের উপর স্লুইসগেট নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি৷ জোয়ারের পানির বন্দিদশা থেকে কুকরি মুকরি ইউনিয়নের মানুষকে বাঁচাতে বেড়িবাঁধের উপর স্লুইসগেট নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরি।
কুকরি মুকরির স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বেড়িবাঁধের উপর বাবুগন্জ, হাজীপুর, নবীনগর, ভেবাজিয়া খালের পাড়,আমিন পুরসহ ১০ স্থানে স্লুইসগেট নির্মাণ করলে আমরা মানবেতর জীবনযাপন থেকে মুক্তি পাব৷ কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি থাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে৷ এছাড়াও অসংখ্য শিশু এবং নারী পুরুষ পানিবাহিত রোগে ভুগছেন৷
দক্ষিনাঞ্চলের দ্বিতীয় সুন্দরবন খ্যাত পর্যটন এলাকা কুকরি মুকরির বেড়িবাঁধের উপর স্লুইসগেট নির্মাণ করতে, কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন চরফ্যাশনের সচেতন নাগরিকরা।
এবিষয়ে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাসান মাহমুদ জানান, কুকরি-মুকরিতে স্লুইসগেট নির্মান প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে এবং দরপত্র আহবান প্রক্রিয়াদিন রয়েছে। আমরা আশা করি খুব দ্রুত ওই অঞ্চলের বেড়িবাঁধে স্লুইসগেট নির্মাণ কাজ শুরু হবে।