সুস্থ হয়েছেন কাদের,ঘণ্টা দুয়েকে হাসপাতাল ছাড়ছেন তিনি

0
374

ভোলা নিউজ২৪ডটনেট। । আর ঘণ্টা দুয়েক পরই সিংগাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সিংগাপুর স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা) হাসপাতাল ছাড়ার কথা রয়েছে তার।

মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে উপস্থিত ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিঙ্গাপুর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ইমান বেপারিও সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় ওবায়দুল কাদেরকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হবে।

সূত্র জানায়, এরই মধ্যে ওবায়দুল কাদের হাসপাতাল ছাড়তে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। কাগজপত্র প্রস্তুত হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এলেই তিনি ছাড়বেন হাসপাতাল।

এরই মধ্যে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে শুক্রবার সকালে তোলা ওবায়দুল কাদেরের একাধিক ছবি পাওয়া গেছে। তাতে দেখা যায়, দীর্ঘ চিকিৎসা আর জটিল সব অস্ত্রোপচারের ধকল কাটিয়ে ওবায়দুল কাদের এখন যথেষ্টই সুস্থ। মুজিব কোট পরিহিত কাদের হাস্যোজ্জ্বল মুখে বসে আছেন।

একটি ছবিতে রয়েছেন ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী ইশরাতুনেচ্ছা কাদের। আর কাদেরের পাশেই বসে আছেন মাউন্ট এলিজাবেথের চিকিৎসক ডা. ফিলিপ কোহে। তিনিই ওবায়দুল কাদেরের বাইপার সার্জারি করেছেন। ছবিতে কাদেরের পেছনে রয়েছেন তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সুখেন চাকমা। রয়েছেন আরও একজন স্বজন।

অন্য একটি ছবিতে ওবায়দুল কাদেরকে দেখা গেছে তার চিকিৎসক দলের সঙ্গে। সফল একটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এই দলটিই তাকে সুস্থ করে তুলেছে। এছাড়া ছোট ভাই মির্জা কাদেরের সঙ্গেও একটি ছবি রয়েছে ওবায়দুল কাদেরের।

ওই সূত্রটি জানায়, মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের পেছনের ইয়র্ক হোটেলে একটি রুম নেওয়া আছে ওবায়দুল কাদেরের জন্য। এছাড়া হাসপাতালে থেকে ১০ মিনিট দূরত্বে একটি ফ্ল্যাটও ভাড়া নেওয়া আছে। হাসপাতাল ছেড়ে এর যেকোনো একটিতে উঠতে পারেন ওবায়দুল কাদের।

হাসপাতাল ছাড়লেও এখনই দেশে ফিরতে পারছেন না ওবায়দুল কাদের। কারণ আরও কিছুদিন চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত চেকআপে থাকতে হবে তাকে। চেকআপ শেষে তারপর দেশে ফিরতে পারতেন তিনি। এর আগেই অবশ্য চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, মধ্য এপ্রিলে দেশে ফিরতে পারবেন তিনি।

গত ৩ মার্চ ভোরে ঢাকায় নিজ বাসায় শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয় ওবায়দুল কাদেরকে। সেখানে দ্রুত এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি বড় ব্লক ধরা পড়ে। এরমধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের (রিং পরানো) মাধ্যমে দ্রুত অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। পরদিন প্রখ্যাত হৃদরোগ সার্জন দেবী শেঠি ভারত থেকে এসে দেখেন ওবায়দুল কাদেরকে। তার পরামর্শে সেদিনই (৪ মার্চ) এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিংগাপুরে নেওয়া হয়।

সেখানে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কাদেরের চিকিৎসায় গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড। দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আনুষাঙ্গিক চিকিৎসার পর তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ২০ মার্চ ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি করা হয়। পরে আইসিইউ থেকে ২৬ মার্চ কেবিনে নেওয়া হয় তাকে। আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাচ্ছেন তিনি।

LEAVE A REPLY