শ্বাস কষ্ট বারে, অক্সিজেন দেয়নি,ডাক্তার দেখেনি,মারা যাওয়ার পর রেজাল্ট-কোরোনা নেগেটিভ

0
1850
অমি আহমেদ,ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।এমন কষ্ট আর আক্ষেপ নিয়ে ফেসবুকে স্টাটাস দেয় চাচা হারানো ভোলার মেয়ে ফারিয়া জাবিন। ভোলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে ফারিয়া জাবিন।
ভোলা নিউজ২৪ডটকম
তার চাচা গত সোমবার (২০এপ্রিল) স্টক করে/ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে হয়ে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান একদিকে চাচা হারানোর কষ্ট পরিবারটি শোকাহত তারমধ্যে করোনা রোগে মারা গেছে ওই ব্যাক্তি এমন গুজব রটিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলেছেন পরিবারটিকে কিছু শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি।করোনা রির্পোট নেগেটিভ আসলে তিনি আক্ষেপ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন রিপোর্টের ও তার চাচার ছবি দিয়ে । স্ট্যাটাসে অভিযোগ আর কষ্ট ফুটে ওঠে। স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
ভোলা নিউজ২৪ডটকম
#মিথ্যা_গুজব_ছড়ানো_বন্ধ_করেন
আমার চাচা রাশেদ আলম চৌধুরী গত ২০ শে এপ্রিল, রোজ সোমবার, হৃদক্রিয়া যন্ত্র বন্ধ হয়ে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তিনি গত ১৭ ই এপ্রিল, হঠাৎ করেই রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তাকে, ভোলা সদর হাসপাতালে তাকে রাতে নিয়ে আসা হয়। তখন ডাক্তারা তাকে দেখে, তার সকল পরীক্ষা করে বলে সে স্ট্রোক করেছে এবং বলেছে যত তারাতাড়ি সম্ভব তাকে বরিশাল নিয়ে যেতে হবে, কারন তার ২য় বার স্ট্রোক করার চান্স খুব বেশি, তাই তাকে CCU / ICU রাখতে হবে, যা ভোলা সদর হাসপাতালে নেই। তো তাকে দৌলতখান এমপি মহোদয় এবং ডাক্তারদের  সহযোগিতায় চাচা কে বরিশাল নেয়া সম্ভব হয়েছে।
 কিন্তু ওই খানে যাওয়ার পর তাকে heart এর চিকিৎসা না দিয়ে তাকে #কোরোনা ডিপার্টমেন্ট এ রেফার করে,  যদিও ভোলা থেকে বরিশাল রেফার করার সময় ডাক্তার  স্পষ্ট ভাবে লিখে দেয় তার ইমারজেন্সি CCU সাপোর্ট দরকার, তার অবস্থা খুব গুরুতর এবং তার কোন করোনা হয় নি। কারন আমার চাচার কোন জ্বর ছিল না, এমন কি তার কোন হাচি, কাশি, ঠান্ডা, গলা ব্যথা,  মাথা ব্যথা কিছু ছিল না। তো তাকে বরিশাল নেয়ার পর ডাক্তার রা তাকে না দেখেই কোরোনা ডিপার্টমেন্ট এ পাঠায়, covid-19 টেস্ট করতে দেয়, তারপর একটা ডাক্তার ও তার কাছে আসেনি। দুইটা দিন চাচা কে একটা কেবিন এ ফেলে রাখছে, দেয়নি কোন চিকিৎসা এমন কি কোন ডাক্তার তাকে একবারের জন্য দেখতেও আসেনি। এদিকে তার শ্বাস কষ্ট বেরে যাচ্ছিলো, অক্সিজেন টাও তারা দিতে আসেনি। যেটা নিয়ে ভয় ছিল, সেই ২য় attack হয় বিকাল ৫ টার দিকে, ঐ সময় চাচা চিরবিদায় জানায় আমাদের। চাচা মারা যাওয়ার পর কোরোনা রেজাল্ট আসে #কোরোনা_নেগেটিভ।
#পুরো_ডাক্তার_দের_অবহেলায়_চিকিৎসার_অভাবে_মারা_যায়_আমার_চাচা।
তার মারা যাওয়ার পর বিভিন্ন গনমাধ্যম তার নামে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে। ATN News, Bangla Vission  এরা প্রচার করছে, রাশেদ আলম covid-19 এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। যদিও পরবর্তীতে তারা ক্ষমা চেয়েছে। এছাড়াও social media তেও অনেকে এই মিথ্যা তথ্যটা প্রচার করছে আপনাদের কাছে অনুরোধ দোয়া করে, এসব গুজব ছড়াবেন না।
এই বিষয়ে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে মৃত ব্যক্তির ভাতিজা ফারিয়া জাবিনের ভাই সাদি চৌধুরি ভোলা নিউজ২৪ডটকম কে জানান, আমার চাচা  রাশেদ আলম চৌধুরী অসুস্থ হলে ডাক্তার শরীফ আহমেদ চিকিৎসা করে তার অবস্থার অবনতি দেখলে তাকে ঢাকা নিতে বলেন,আমরা স্থানীয় এমপির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি   বরিশাল নিতে ব্যাবস্থা করে দেন। আমরা জরুরী ভিত্তিতে বরিশাল নিয়ে যাই কিন্তু শ্বাস কষ্টের কথা শুনে বরিশালের কোন ডাক্তার আমার চাচাকে দেখতে আসেনি। আইসোলেশন এর একটি রুমে তাকে রেখে দেয়। আমরা ডাক্তারের রিপোর্ট ও তাদের দেখাই কিন্তু কোন ডাক্তার তাকে দেখতে আসেনি চাচার অবস্থা অবনতি হয়ে মারা যায়।মারা যাওয়ার পরে আমাদের সাথে আরেকটা অমানবিক কাজ হল কিছু লোক দুইটা টিভি চ্যানেলে বলল করোনা হয়ে তিনি মারা গেছেন।একদিন পরে রিপোর্ট আসলো রিপোর্ট নেগেটিভ হলে সেই চ্যানেলগুলো দুঃখ প্রকাশ করে। কিন্তু সব জায়গায় খবরটি ছড়িয়ে গেলে আমরা নিজেরাও আতঙ্কের মধ্যে পড়ে যাই এর মধ্যে মানুষজনের নানান প্রশ্নের মুখে বিব্রত অবস্থার পরি আমার পরিবার।
এমন যেন আর কারো সাথে না হয় সরকারের এই দিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত।
এই গুজবে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলেও করোনাভাইরাস রিপোর্ট নেগেটিভ হলে ওই এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসে জনমনে আতঙ্ক কেটে যায়।এই ঘটনায় ওই এলাকায় থাকা নানান শ্রেণী-পেশার মানুষ গুজবের নিন্দা জানায়।

LEAVE A REPLY