শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও কন্যা আরাধ্য বচ্চন। হিন্দুস্তান টাইমসহ ভারতের একাধিক গণমাধ্যম খবরটি নিশ্চিত করেছে।
গত শনিবার করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে অমিতাভ বচ্চন ও অভিষেক বচ্চনের শরীরে। তার পরদিনই করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও কন্যা আরাধ্য বচ্চনের। কিন্তু তাঁদের শরীরে করোনার তেমন কোনো লক্ষণ না থাকায় তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হননি। কিন্তু শুক্রবার তাঁদের নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় বলে জানা গেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর অনলাইন সংস্করণ সূত্রে। এ কারণে দ্রুত নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আরাধ্য ও ঐশ্বরিয়াকে। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আরাধ্য ও ঐশ্বরিয়ার অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল ৯৫ শতাংশের বেশি। এই নানাবতী হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে অমিতাভ ও অভিষেকের। গত সপ্তাহ থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তাঁরা। জুহুতে অমিতাভের বাড়ি থেকে সবচেয়ে কাছেই এই নানাবতী হাসপাতাল।
শনিবার অমিতাভ বচ্চন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কিছু পরেই জানানো হয়, তাঁর ছেলে অভিষেকও সংক্রমিত। তবে জয়া বচ্চন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও তাঁর কন্যা আরাধ্যর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলেই জানানো হয়েছিল। পরদিন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে টুইট করে জানান, ঐশ্বরিয়া ও আরাধ্যর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেই টুইট ডিলিট করে দেন তিনি। এরপর মুম্বাইয়ের মেয়র কিশোরী পেড়নেকর জানান, মা ও মেয়ে দুজনেই করোনা নেগেটিভ। তার কিছুক্ষণের মধ্যে দ্বন্দ্ব কাটিয়ে সঠিক খবরটি জানান অভিষেক।
তিনি টুইটে লেখেন, ‘ঐশ্বরিয়া ও আরাধ্যরও কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ওরা বাড়িতেই কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। বিএমসিকে ওদের অবস্থার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমার মাসহ পরিবারের বাকি সবার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। শুভকামনা ও প্রার্থনার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’
আপাতত জয়া বচ্চন, শ্বেতা নন্দা ও তাঁর ছেলেরও করোনা নেগেটিভ। অর্থাৎ, জয়া বচ্চন, শ্বেতা নন্দা ও তাঁর ছেলে করোনামুক্ত।
জানা গেছে, বর্তমানে অমিতাভ বচ্চনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। ৭৭ বছরের এই অভিনেতা টুইট করে গতকাল ভক্তদের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘যাঁরা হিংসা করেন, যাঁরা অন্যদের অপছন্দ করেন, যাঁরা কখনোই সন্তুষ্ট থাকেন না, বদমেজাজি, সব সময় সন্দেহ করেন এবং যাঁরা অন্যের ওপর নির্ভর করে বাঁচেন—এই ছয় ধরনের মানুষ সব সময় দুঃখ পান। এই ধরনের মানুষদের থেকে আমাদের দূরে থাকা উচিত।’
জানা গেছে, বর্তমানে মুম্বাইয়ে করোনা আক্রান্ত ৯৯ হাজারের ওপর। মৃত ৫ হাজার ৫৮৫। সে দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে এ শহর। বলিউডে এর আগে কণিকা কাপুর ও কিরণ কুমার করোনায় আক্রান্ত হন। গত ১ জুন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন ওয়াজিদ খান। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের টালিউডের অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক, অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক, তাঁর মা দীপা মল্লিক ও স্বামী নিসপাস সিং রানেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।