ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট।।শিগগিরই জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিচ্ছেন মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও গণফোরামের নির্বাচনী প্রতীক উদীয়মান সূর্যে সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান।
দৈনিক জাগরণের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে রবিবার সন্ধ্যায় তারা এ কথা জানান।
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর জাগরণকে বলেন, আমি অসুস্থ। হাতে ফ্র্যাকচার। ব্যান্ডেজ লাগানো। সুস্থ হতে এখনও সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে। শপথের তো এখনও বেশ সময় আছে। তাড়াহুড়োর কিছু নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের সিদ্ধান্ত নেবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও সিদ্ধান্ত নেবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে তো সবাই আলাদা আলাদা দল। শপথের বিষয়ে এখনও বেশ সময় আছে। সেক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত ‘অবশ্যই পজেটিভ’ হবে।
মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া-কমলগঞ্জ) আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ইতিহাস গড়েন তিনি। ইতোপূর্বে ধানের শীষ প্রতীকের কোনো প্রার্থী ওই আসনে কখনও বিজয়ী হতে পারেননি। ১৯৯১ ও ২০০১ সালে এ আসনে দুইবার জামানত হারায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। এবার এই আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে হাড্ডাহাডি লড়াই করে জয় পান আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মনসুর।
মোট ৯৩টি কেন্দ্রের মধ্যে সুলতান মনসুর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৭৪২ ভোট, নৌকা প্রতীক নিয়ে বিএনপির সাবেক নেতা এমএম শাহীন পেয়েছেন ৭৭ হাজার ১৭০ ভোট।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে সুলতান মনসুর নৌকা প্রতীক নিয়ে একই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
অন্যদিকে সিলেট-২ আসন থেকে গণফোরামের নেতা মোকাব্বির খান শপথের বিষয়ে দৈনিক জাগরণকে বলেন, আমাদের দলের (গণফোরাম) প্রেসিডেন্ট চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে ছিলেন। তিনি আজ রাতে দেশে ফিরছেন। তিনি আসার পর আমাদের দলীয় ফোরামের বৈঠক হবে। সেখানে শপথের বিষয়েও আলোচনা হবে। এ বিষয়ে (শপথ) আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। ফোরামের সিদ্ধান্তও ইতিবাচকই হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনটি নির্বাচনের আগে থেকেই ব্যাপক আলোচিত ছিল। আসনটি বরাবরই বিএনপির শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এবার এ আসনে ধানের শীষে মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা। লুনা গত ৭ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী। মনোনয়ন পাওয়ার পর হাইকোর্ট লুনার প্রার্থিতা বাতিল করে।
পরে এই আসনে গণফোরাম প্রার্থী মোকাব্বির খানকে সর্মথন দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তিনি গণফোরামের ‘উদীয়মান র্সূয’ প্রতীকে ভোট করে বিজয়ী হন। গণফোরামের এই প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৪২০টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডাব প্রতীকে মুহিবুর রহমান ৩০ হাজার ৪৪৯ ভোট পান। ৩৮ হাজার ৯৭১ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন মোকাব্বির খান। আসনটিতে কেন্দ্রের সংখ্যা মোট ১২৭টি।
ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ নিয়ে গঠিত এই আসনটিতে এর আগে একাধিকবার বিজয়ী হন বিএনপির ইলিয়াস আলী। ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই আসনে জাতীয় পার্টির নেতা ইয়াহহিয়া চৌধুরী জয়ী হয়েছিলেন।