ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায় নিয়ে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের সুর্বণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তোফায়েল আরো বলেন, বিএনপিসহ কিছু দল বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সর্তক থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে দেশের পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু কুচক্রীমহল প্রশ্নপত্র ফাঁস করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বার বার এই কাজ করছে। এই কুচক্রীমহলের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বানও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কুচক্রীমহল সরকারকে বিব্রত করার জন্য প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে আমাদের সম্মান ক্ষুণ্ন করে আসছে। এ ব্যাপারে আমাদেরকে আরো সতর্ক এবং যত্নবান হতে হবে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি আসামিদের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় এ রায় দেন।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। এদের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান পলাতক।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।