ভোলা নিউজ২৪ডটনেট॥ বাল্যবিবাহ বন্ধ, শিক্ষা বিস্তারে সচেতনতামূলক পদক্ষেপ, সফল ও শ্রেষ্ঠ নিকাহ রেজিষ্ট্রার কাজী হিসেবে বিশেষ অবদান রাখায় ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কাজী মোঃ সিরাজুল ইসলামকে শের-ই-বাংলা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড-২০১৯ ও সনদ প্রদান করা হয়েছে। গত শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকালে ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশন সেমিনার হলে “আলোকিত বাংলার মুখ ফাউন্ডেশন” এর আয়োজনে এই এ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিচারপতি সিকদার মকবুল হক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অর্থ-মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তপন কুমার নাথ, সাবেক এমপি এ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, সাবেক এমপি কামরুন্নাহার চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন আবদুল গনি মিয়া বাবুল।
এসময় চিত্রনায়িকা নতুন, চিত্রনায়িকা দিলারা, চিত্র নায়িকা সৈয়দা কামরুননাহার শাহনুর সহ সুশীল, সাংবাদিক ও বিশিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
কাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বাল্যবিয়ে আমাদের সমাজের একটি অভিশাপ। বাল্যবিয়ের কারণে একটি শিশু ঠিক মতো বেড়ে উঠতে পারে না। সরকার বাল্যবিয়ে বন্ধে আইন করেছে। আমি এই আইনকে স্বাগত জানাই। আমাদের সমাজকে বাল্যবিয়ে মুক্ত করতে আমি সাধারন মানুষকে বিভিন্নভাবে সচেতন করে আসছি। আমার কাছে কেউ অপ্রাপ্ত মেয়ে ছেলেকে নিয়ে আসলে আমি তাদেরকে বিয়ে না পড়িয়ে পড়ালেখা করার জন্য উৎসাহ দিয়ে আসছি। আগের চেয়ে এখন আমার এলাকায় বাল্যবিবাহ অনেক কমে আসছে। তিনি আরও বলেন, রাজাপুর ইউনিয়নটি ভোলা শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় এ এলাকায় শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতী শিশুরা। এই ইউনিয়নে ভালো কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। শিক্ষা বিস্তারের জন্য আমার এলাকায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মানের প্রস্তুতি নিচ্ছি। যাতে কোমলমতী শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করে মানুষের মতো মানুষ হতে পারে। আমি এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষা সচিব সহ এলাকার সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।
উল্লেখ্য, আলোকিত বাংলার মুখ ফাউন্ডেশন ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেসব মানুষ বিশেষ অবদান রাখছে তাদেরকে শের-ই বাংলা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড ও সনদ প্রদান করে আসছে।