স্টাফ রিপোর্টার : মেঘনার জোয়ারে তলিয়ে গেছে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট। এতে ঘাটে আটকা পড়েছে কুসুমকলি ও কনকচাঁপা নামের দু’টি ফেরি। এপ্রোচ সড়ক, র্যাম ও পন্টুন ডুবে যাওয়ায় ফেরিতে ওঠা-নামা করতে পারছেনা কোনো পরিবহন।মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৪টা থেকে প্রবল জোয়ারে ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ইলিশা ঘাট ডুবে যায়। এতে উভয় পাড়ে সৃষ্টি হয়েছে যানবাহনের দীর্ঘজট। পারাপার হতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী, পরিবহন চালক ও শ্রমিকরা।
অপেক্ষাকৃত নিচু স্থানে ঘাট নির্মাণের কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ ফেরি কতৃপক্ষের। ফেরি সমস্যার কারণে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ভোলা অংশে ৮০ এবং লক্ষীপুর অংশে আরও দেড়শোটি যানবাহন আটকে আছে।
জানা গেছে, ভোলার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগে সহজ মাধ্যম ভোলা-লক্ষীপুর রুটের তিনটি ফেরি চলাচল করছে। কিন্তু অমাবস্যায় সৃষ্ট জোয়ারের চাপে গত কয়েকদিন থেকেই ইলিশা ঘাট তলিয়ে যায়। এতে জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে ফেরি চলছে। ফেরির ট্রিপ কমে যাওয়ায় উভয় পাড়ে দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফেরিতে উঠতে পারছে না কোনো যানবাহন।
বিকেলে ইলিশা ঘাট থেকে জানা যায়, জোয়ারের কারণে ঘাটের বেশিরভাগ এলাকা ডুবে আছে। ফেরিতে কোনো যানবাহন উঠতে না পারায় গন্তব্যে যেতে পারছেনা কুসুমকলি ও কনকচাঁপা নামের দু’টি ফেরি। সন্ধ্যা ৭টার পর ভাটা এলে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
ঘাটে অপেক্ষারত অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. সাব্বির বলেন, চট্টগ্রাম থেকে বরিশাল এসেছি এখন ফেরার পথে ইলিশা ঘাটে ৫ ঘণ্টা ধরে আটকে আছি। জোয়ার কমলে ফেরিতে উঠতে পারবো। তবে কখন যাবো তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
লালমোহন থেকে চট্টগ্রামগামী ট্রাক চালক মো. ফারুক বলেন, জোয়ারে ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ফেরিতে উঠতে পারছিনা, ট্রাকে মুগডাল রয়েছে, সময় মতো যেতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্ত হবো।
জোয়ারে তলিয়ে গেছে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট।
ফারুক বলেন, চারদিন ধরে ফেরি ঘাটের জোয়ারের সমস্যা লেগেই রয়েছে। আমরা বিষয়টি অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছি। কিন্তু এখনো কোনো সমাধান হয়নি, জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান , জোয়ারের কারণে ঘাট তলিয়ে গেছে। বিষয়টি বৃহস্পতিবারের (১৯ জুলাই) মধ্যে সমাধান করা হবে।