ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।ভোলার মনপুরায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভিন আক্তার রেবু বিরুুদ্ধে স্থানীয় অসহায় মানুষের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।নানা অনিয়ম নির্যাতন ও জমি দখল এর প্রতিবাদে ভুক্তভোগী কয়েক’শ নারী-পুরুষ মানববন্ধন করেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ফেব্রুয়ারি)সকাল ১২ টার সময় মনপুরা উপজেলার আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে হাজিরহাট বাজারে ভুক্তভোগী কয়েক’শ নারী-পুরুষ মানববন্ধন করেছে।
এসময় ভুক্তভোগীরা জানায়, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার রেবু ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে তার ভাই ও ভাতিজাদের দিয়ে অসহায় মানুষের জমি দখল করে নিচ্ছে। কেউ এর প্রতিবাদ করলে তাদেরকে ক্যাডার দিয়ে তাদের মারধর করে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
ভুক্তভোগী হাজিরহাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চরযতিন গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী জাহানারা বেগম জানায়, তার স্বামী ১৩ বছর আগে দুইটি ছেলে রেখে মারা যায়। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার রেবু ও তারা একই বাড়িতে থাকেন। তার দুই ছেলে ঢাকায় কাজ করেন। গত কয়েক বছর ধরে তাদেরকে ওই বাড়িতে উৎখাত করার পায়তারা করে আসছে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেবু। ওই বাড়িতে তার স্বামীর ক্রয়কৃত ৪৮ শতাংশ জমি দখল করতে ভাইস চেয়ারম্যান রেবু তাদেরকে হামলা, মামলাসহ বিভিন্ন হয়রানি করে আসছে।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারী) রেবুর ভাই ইব্রাহীম ও বোনের ছেলে আকাশ জাহানারার ঘরে তালা দিতে যায়। এ সময় সে বাঁধা দিলে ভাইস চেয়ারম্যান রেবু, তার বোন ইরানী ও লাভলী, বোন জামাই রুবেলসহ ১০-১২ মিলে তাকে মারধর করতে থাকে। পরে খবর পেয়ে তার আত্মীয় স্বজন তাকে বাঁচাতে ছুটে আসলে তারা ধারালো দা ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় জাহানারার ভাতিজা বউ নাজমা বেগম ও রোকেয়া বেগম, ভাইর মেয়ে মাসুমা, নাতিন পারভীন এবং ছোট নাতি সৌহার্দ্য ইসলাম রোয়ান গুরুতর জখম হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
তিনি আরও জানান, তারা আমাদেরকে মারধর করে উল্টো আমাকেসহ আমার ১৫ জন আত্মীয় স্বজনকে আসামী করে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আমার দুই ভাইর ছেলে মিলন ও ফারুকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জামিনে মুক্ত করা হয়। এমনকি তাদের অত্যাচারে তার দুই ছেলে বাড়িতেও আসতে পারে না।
একই এলাকার ভুক্তভোগী মো. মিলন ও মো. ফারুক, সালাহউদ্দিন জানায়, তাদের ওয়ারিশী চরযতিন ও চরজ্ঞান মৌজার ৩ একর ৪০ শতাংশ জমি গত ১৫ বছর ধরে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার রেবু জোরপূর্বক ভোগ দখল করে আসছে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ মিমাংশা হলেও সে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে তা উপেক্ষা করে আসছে। এমনকি উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হামলা করে হয়রানি করে আসছে। বিষয়টি নিয়ে বিরোধীয় জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সে ওই জমিতে ঘর উত্তোলন ও টিউবওয়েল স্থাপন করে আসছে। এবং আমাদেরকে পুলিশি হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মবপুরা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার রেবু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি রাজনীতি করি। তাই আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে এসকল ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এদের দুই পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। আমরা কখনও কারো পক্ষ নিয়ে কাজ করিনি। যে পক্ষেই আমাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসে আমরা তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছি। এখানে কারো পক্ষে নিয়ে কিছু করার সুযোগ নেই। যেটি সত্য সে হিসেবে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।
ভুক্তভোগী হাজিরহাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চরযতিন গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী জাহানারা বেগম জানায়, তার স্বামী ১৩ বছর আগে দুইটি ছেলে রেখে মারা যায়। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার রেবু ও তারা একই বাড়িতে থাকেন। তার দুই ছেলে ঢাকায় কাজ করেন। গত কয়েক বছর ধরে তাদেরকে ওই বাড়িতে উৎখাত করার পায়তারা করে আসছে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেবু। ওই বাড়িতে তার স্বামীর ক্রয়কৃত ৪৮ শতাংশ জমি দখল করতে ভাইস চেয়ারম্যান রেবু তাদেরকে হামলা, মামলাসহ বিভিন্ন হয়রানি করে আসছে।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারী) রেবুর ভাই ইব্রাহীম ও বোনের ছেলে আকাশ জাহানারার ঘরে তালা দিতে যায়। এ সময় সে বাঁধা দিলে ভাইস চেয়ারম্যান রেবু, তার বোন ইরানী ও লাভলী, বোন জামাই রুবেলসহ ১০-১২ মিলে তাকে মারধর করতে থাকে। পরে খবর পেয়ে তার আত্মীয় স্বজন তাকে বাঁচাতে ছুটে আসলে তারা ধারালো দা ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় জাহানারার ভাতিজা বউ নাজমা বেগম ও রোকেয়া বেগম, ভাইর মেয়ে মাসুমা, নাতিন পারভীন এবং ছোট নাতি সৌহার্দ্য ইসলাম রোয়ান গুরুতর জখম হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
তিনি আরও জানান, তারা আমাদেরকে মারধর করে উল্টো আমাকেসহ আমার ১৫ জন আত্মীয় স্বজনকে আসামী করে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আমার দুই ভাইর ছেলে মিলন ও ফারুকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জামিনে মুক্ত করা হয়। এমনকি তাদের অত্যাচারে তার দুই ছেলে বাড়িতেও আসতে পারে না।
একই এলাকার ভুক্তভোগী মো. মিলন ও মো. ফারুক, সালাহউদ্দিন জানায়, তাদের ওয়ারিশী চরযতিন ও চরজ্ঞান মৌজার ৩ একর ৪০ শতাংশ জমি গত ১৫ বছর ধরে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার রেবু জোরপূর্বক ভোগ দখল করে আসছে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ মিমাংশা হলেও সে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে তা উপেক্ষা করে আসছে। এমনকি উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হামলা করে হয়রানি করে আসছে। বিষয়টি নিয়ে বিরোধীয় জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সে ওই জমিতে ঘর উত্তোলন ও টিউবওয়েল স্থাপন করে আসছে। এবং আমাদেরকে পুলিশি হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মবপুরা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার রেবু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি রাজনীতি করি। তাই আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে এসকল ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এদের দুই পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। আমরা কখনও কারো পক্ষ নিয়ে কাজ করিনি। যে পক্ষেই আমাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসে আমরা তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছি। এখানে কারো পক্ষে নিয়ে কিছু করার সুযোগ নেই। যেটি সত্য সে হিসেবে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।