মনপুরা হাজীরহাট পরিষদের বাথরুম বন্ধ করে নারীর হাত-পা বেঁধে নির্যাতন

0
60

ভোলা নিউজ ২৪ ডটকম :: ভোলার মনপুরার হাজীরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কর্তৃক নারীদের উপর এ কেমন বর্বরতা। আম পাড়ার অপরাধে পরিষদে নিয়ে বাথরুমে আটকে হাত-পা বেঁধে মারধোর করার লিখিত অভিযোগ থানায় দিয়েছে তার বিরুদ্ধে। আর রক্ষা করতে এসে রেহাই পায়নি ছকিনার বৃদ্ধ মা আংকুরা বেগম। থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও হয়নি মামলা,পুলিশ বলছে তদন্ত করে ব্যবস্তা নেয়ার কথা।

 

দ্বীপ জেলা ভোলার আরেক দ্বীপ মনপুরা। ‌এখানে একের পর এক ঘটনা ঘটলেও অসহায় মানুষের পাচ্ছে না কোন বিচাঁর। নিরবেইসহ্য করতে হচ্ছে তাদের। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ এপ্রিল হাজীরহাট ইউনিয়ন পরিষদ মা ও মেয়েকে মারধোর করে বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: নেজাম হাওলাদার।

 

মনপুরা থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগ এবং থানা পুলিশ জানায়,অভিযোগকারী ছকিনা বেগমসহ ৫০/৬০ জন চেয়ারম্যান এর বাড়িতে চাউলের স্লিপ আনার জন্য যায়। এসময় চেয়ারম্যান নেজাম হাওলাদার স্লিপ না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে তারা ফিরে আসে নিজ নিজ বাড়িতে। আসার সময় মহিলারা গাছ থেকে কিছু আম ছিড়ে নিয়ে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছকিনা বেগমকে বাড়ি থেকে ডেকে আনায় চৌকিদার পাঠিয়ে। পরিষদে আসার পর সাবেক মেম্বার ও বর্তমান মেম্বারসহ অন্য লোকজনের সামনেই তাকে মাথরুমে আটকে রাখে। পরে হাত-পা বেঁধে মারধোর করা হয়।খবর পেয়ে ছকিনার বৃদ্ধ মা আংকুরা বেগম দৌড়ে মেয়েকে রক্ষায় পরিষদে যায়। শেষ রক্ষা হয়নি,তাতে। উল্টো চেয়ারম্যানের হাতে মারধোর খেতে হয় তাকেও।

 

এদিকে আহত অবস্থায় মনপুরার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চর জতিন গ্রামের আব্দুর রব এর মেয়ে ছকিনা বেগমকে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হতে চাইলে চেয়ারম্যানের লোকজন বাঁধা দেয়। পরে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন ছকিনা বেগম। বর্বরতার বিচাঁর দাবী করেন তিনি।

 

ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানে ইলিয়াস চৌধুরী নামের এক যুবক এসে নির্যাতিত মহিলাকে হুমকি প্রদান করে এবং সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে নিষেধ করে। পরে ক্যামেরা দেখে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।

 

এবিষয় মনপুরা হাজীরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: নেজাম হাওলাদার বলেন,বাড়িতে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এমন সময় দেখি ৫০/৬০জন মহিলা। তখন চাউলের নাম দেয়ার কথা বলে। বলেছি এখন শেষ আবার আসলে দিব। পরিষদ চলে যাই। আম ছেড়ার ঘটনায় ৪/৫জনকে আমি ডেকে আনিয়েছি পরিষদ। সেখানে বর্তমান এবং সাবেক মেম্বাররা উপস্থিত ছিলো। তাদের সামনেই ছকিনা বেগম ক্ষমা চায়। মেম্বাররা বিচাঁর করেছে।আমি মারবো কেন আমিতোঠিকমত কথাও বলিনি। পরে শুনেছি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং থানায় অভিযোগ দিয়েছে।

 

এই বিষয়ে মনপুরা থানার ওসি মো: সাঈদ আহমেদ বলেন,এবিষয় ভুক্তভোগী মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। সেটি তদন্ত করে দেখা হবে,তার পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

LEAVE A REPLY