স্টাফ রিপোর্টার,ভোলা নিউজ২৪ডটনেট।। ভোলায় যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় সেনা সদস্য বিল্লাল হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত। দীর্ঘ দেড় বছর নানা নাটকীয়তার পর ২২ জুলাই ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে হাজির হলে বিচারক আতায়ার রহমান সেনা সদস্য বিল্লালের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালো ভোলা চরসামাইয়ার চরছিফলী গ্রামের শাহাজাহান হাওলাদারের মেয়ে আখিঁতারা বেগমের সাথে বিয়ে হয় ধনিয়ার নবীপুর এলাকার আবদুল হাকিমের ছেলে সেনা সদস্য বিল্লাল হোসেনের। বিয়ের পর থেকেই বিল্লাল ও তার পিতা-মাতা আখিঁর পরিবারে কাছে যৌতুক দাবি করে আসছিলো। মেয়ের সুখের জন্য পিতা বিল্লালকে বিভিন্ন অন্যায় আবদার মেনে নিয়ে আসবাবপত্র সহ নগদ অর্থ যৌতুক হিসাবে প্রদান করে। আরও যৌতুকের দাবীতে বিল্লাল তার স্ত্রীর উপর চাপ সৃষ্টি করে। সেনা সদস্যবিল্লাল ছুটিতে আসলে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর-২০১৭) তারিখ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌতুক নিয়ে কথাকাটির এক পর্যায়ে বিল্লাল স্ত্রী আখিঁকে বেধম মারধর করে। পরে আখিঁকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে চাইলে বাধা দেয় স্বামী বিল্লাল ও তার সহোযোগিরা। পরে ভোলা সদর থানা পুলিশের সহোযোগিতায় আখিতারাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনায় আখি তারার পিতা মোঃ শাজাহান বাদী হয়ে ০১ জানুয়ারী-২০১৮ইং তারিখ ভোলা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৪৪২/১৮(নারী, শিশু)। এরপর মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আখিঁ তারার পরিবার বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলো সেনা সদস্য বিল্লাল হোসেন ও তার সহযোগীরা। ঘটনার দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও মূল আসামী বিল্লাল ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে বহাল তবিয়তে ছিলো। অবশেষে সোমবার (২২ জুলাই) ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল কোর্টে হাজির হলে বিজ্ঞ বিচারক আতায়ার রহমান বিল্লালের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
উল্লেখ্য, বিল্লাল হোসেন ২১ ইস্ট বেঙ্গল, বন্দুকছড়ি আর্মি ক্যাম্প জুড়াছড়ি রাঙামার্টি পার্বত্য জেলায় ল্যান্স কর্পোরাল পদে কর্মরত ছিলো।