ভোলায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

0
452

আদিল হোসেন তপু,ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : মায়ানামার সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদ কর্তৃক রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে গ্রামীণ সমাজ কল্যান পাঠাগার। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে ভোলা সদরের পরানগঞ্জ বাজারে গ্রামীণ সমাজ কল্যান পাঠাগারের আয়োজনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রামীন সমাজ কল্যান পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও এসএ টিভি, নয়া দিগন্ত জেলা প্রতিনিধি এ্যাড: সাহাদাত শাহিনের সভাপতিত্বে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন, মোঃ আবদুল হাই, জামিরালতা ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা প্রভাষক মীর নুরে আলম, প্রধান শিক্ষক আবদুল কাদের মঞ্জু, প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন বাহার, পাঠাগারের উপদেষ্টা মেহেদী হাসান কামাল, গ্রামীন সমাজ কল্যান পাঠাগারের সাবেক সম্পাদক এম শাহরিয়ার জিলন, গ্রামীন সমাজ কল্যাণ পাঠাগার আয়োজক ইমাম হোসেন কান্টু, দেলোয়ার হোসেন শাওন প্রমূখ। এসময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, ঈমাম, পাঠাগারের সকল সদস্য, ব্যবসায়ীগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মোঃ আনিছুর রহমান, স¤্রাট হাওলাদার।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের আরাকান (রাখাইন) রাজ্যে নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর সে দেশের সরকার, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক পৈশাচিক অত্যাচার, ধর্ষণ, নিপীড়ন, বর্বর নির্যাতন, কোলের শিশুকে কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে হত্যাসহ নির্বিচারে যে নৃশংস মুসলিম গনহত্যা চালাচ্ছে তা মানবতা বিরোধী ও মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। তারা একই সাথে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে একের পর এক জ্বালিয়ে দিচ্ছে আরাকানের ঐতিহ্যবাহী মসজিদ, মাদ্রাসা ও ধর্মীয় স্থাপনা। তারা আরও বলেন, এই নির্মম গণহত্যা, ধর্ষন, অগ্নিসংযোগকারী অং সাং সুচি সরকারকে সমার্থন জাগাচ্ছে রাশিয়া, চীন, ভারত, ইসরাইল, এতে প্রমান হয় রাশিয়া চীন ভারত। মানবতার বন্ধু অং সাং সুচির নোবেল পুরুষ্কার দিয়ে নোবেল কমিটি প্রমান করেছে তারাও ভূয়া। অবিলম্বে সুচির বিচার সহ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধের দাবি জানান। মিয়ানমারের সামরিক জান্তাদের অত্যাচারে অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিমরা নিজের দেশের ভিটে মাটি ছেড়ে আজ উদ্ভাস্তু হিসেবে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমরা আন্তর্জাতিকভাবে অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিমদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিয়ে পুনর্বাসনের জোর দাবি জানাচ্ছি।

LEAVE A REPLY