রাকিব উদ্দিন অমি ।। উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢল ও আমবশ্যার প্রভাবে ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তলিয়ে গেছে উপকূলের নিচু এলাকা। পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন হাজারো মানুষ। একই সাথে নদী উত্তাল থাকায় জেলেরাও নদীতে মাছ ধরতে পারছে না।
ভোলার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের বাইরের নিচু এলাকায় পানি ঢুকে বিস্তীর্ন এলাকা প্লাবিত হয়। এতে ৪র্থ দিনের মত চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার অসহায় মানুষ গুলো। এছাড়া জেলার কলাতলীর চর, চর যতিন, সোনার চর, চরপাতিলা, ঢালচর, রামদাসপুর, মদনপুর, মাঝের চর, গঙ্গাকীর্তি, বলরাম শুড়া, চর জহিরুল উদ্দিন, কচুয়া খালির চরসহ নিম্নাঞ্চলের অন্তত ২০ এলাকার মানুষ।
একদিকে বৈরী আবহাওয়া অন্যদিকে জোয়ারের পানিতে কস্টে দিন কাটাচ্ছেন উপকূল এলাকার বাসিন্দারা। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে রাস্তা-ঘাট, পুকুর-ঘের, ফসলি জমি ও বসতঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পানি বন্দি মানুষ। প্রতিদিন দুই বার করে পানি উঠে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তারা।
মদনপুর এলাকার বাসিন্দা লুৎফর পাটোয়ারি বলেন, জোয়ারের পানিতে পুরো এলাকা তলিয়ে গেছে। মানুষের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে,তলিয়ে গেছে ফসল। দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন মানুষ। কলাতলীর চরের মামুন জানান,জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌলশী মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়েছে। উজানের পানির ঢল ও আমবশ্যার প্রভাবে নদীর পানি বেড়েছে। এতে বাঁধের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ অবস্থা আরো দু’দিন থাকতে পারে।
জানা গেছে, গত দুই দিন মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপরে ছিলো। এ নিয়ে টানা ৩ দিন প্লাবিত হলো উপকূল।