আদিল হোসেন তপু,ভোলা নিউজ২৪ডটকম ॥ দ্বীপ জেলা ভোলায় একের পর এক বেড়েই চলছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা জেলা এখন পর্যন্ত ১৪০ জন কোরানায় আক্রান্ত হয়েছে। সে কারণেই জেলার সব উপজেলার বিভিন্ন জোনে ভাগ করার সিদান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ । সোমবার (১৫ জুন) সকালে জেলা প্রশাসন এর সম্মেলন কক্ষে জেলা পর্যায়ে করোনা ভাইরাস এর সংক্রমন ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভা এই সিন্ধান্ত নেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকা জোনের আওতায় এনে প্রত্তুতি নিতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভোলায় সর্বমোট১৪০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোলা সদর উপজেলায় ৫৮ জন। এর পরে চরফ্যাশন উপজেলায় ২৩ জন,বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ২১ জন,লালমোহন উপজেলায় ১৮ জন,দৌলতখান উপজেলায় ৮ জন,মনপুরায় ৮ জন,তজুমদ্দিনে ৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা টেস্ট করা হয়েছে ২১০৬ জন।
এদিকে ভোলা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী করোনার আক্রান্তর হার বেশি হওয়ায় ভোলা,চরফ্যাশনও লালমোহন এই ৩ পৌর সভাকে রেড জোনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানা যায়। তবে পৌর সভার কোন কোন এলাকা রেড জোনের আওতায় আনা হচ্ছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে এখনও সিদান্ত নেয়া হয়নি। এই ৩ টি পৌর সভার কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে যাচ্ছে।
রেড জোনের এলাকায় সকল প্রকার ব্যক্তিগত,পারিবারিক,সামাজিক,,রাজনৈতিক,গনজমায়েত নিষিদ্ধ করা হতে পারে। সকল জনগনকে লক ডাউনের সময় নিজ নিজ আবাসস্থলে অবস্থান করতে হতে পারে।
অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত এলাকা বোরহানউদ্দিন উপজেলাকে ইয়েলো, একেবারে কম আক্রান্ত বা মুক্ত এলাকাকে ভোলা উপজেলা গ্রিন,দৌলতখান গ্রিন,লালমোহন গ্রিন,মনপুরা গ্রিন,তজুমদ্দিন গ্রিন,চরফ্যাশন গ্রিন জোনের আওতায় আছে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন-ভোলা সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী, ভোলা পৌর সভার মেয়র মো: মনিরুজ্জামান মনির,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: আতাহার মিয়া সহ অন্যান্য সদস্য বৃন্দ।