ভোলায় বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেলো এসএসসি পরীক্ষার্থী

0
471

রাকিব উদ্দিন অমি, ভোলা নিউজ২৪ডটনেট ॥
ভোলায় কিশোরী কাব ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেলো তৈয়বা খাতুন (১৫) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। সোমবার (২৮ জানুয়ারী) দুপুরের সদরের বাপ্তা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের জামিরালতা গ্রামের ফরাজী বাড়িতে এই বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। পরে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিবে না এই মর্মে মেয়ের পিতা-মাতার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। 
জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের মনেজা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আইয়ুব আলী ফরাজীর মেয়ে তৈয়বা খাতুন এর সাথে দৌলতখানের চরপাতা ইউনিয়নের এক ব্যবসায়ীর সাথে বিবাহের আয়োজন চলছিলো। বিষয়টি জানতে পেরে কোস্ট ট্রাস্ট পরিচালিত ‘জবা’ কিশোরী কাবের সদস্যরা বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক আদিল হোসেন তপুকে জানায়। তিনি বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কাওছার হোসেন ও সাংবাদিক আদিল হোসেন তপু ফরাজী বাড়িতে গিয়ে গায়ে হলুদের আয়োজন দেখতে পেয়ে তা ভেঙ্গে দিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন। এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কাওছার হোসেন তৈয়বা খাতুনের পিতা আইয়ুব আলী ফরাজীকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে অবহিত করেন। আইয়ুব আলী সব শুনে তার ভুল বুঝতে পারেন এবং তার মেয়েকে পড়ালেখা করিয়ে উপযুক্ত বয়সে বিয়ে দিবেন বলে অঙ্গীকার করেন। পরে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিবে না এই মর্মে মেয়ের পিতা-মাতার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।
এসময় কোস্ট ট্রাস্ট এর আইইসিএম প্রকল্পের শিক্ষা অফিসার মোঃ সেলিম, উপজেলা ট্রেনিং এন্ড মনিটরিং অফিসার মোঃ মনিরুল ইসলাম, জবা কিশোরী কাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক আদিল হোসেন তপু বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থী তৈয়বা খাতুনের বাল্যবিয়ে খবর পেয়ে আমি প্রশাসন ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানাই। সেখানে গিয়ে মেয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান দেখতে পাই। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কাওছার হোসেনকে নিয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করি। তৈয়বা খাতুনের পিতা আইয়ুব আলী মেয়েকে উপযুক্ত বয়স হলে বিয়ে দিবেন বলে অঙ্গীকার করেন।

LEAVE A REPLY