স্স্টাফ রিপোর্টারঃ ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট :॥ ভোলার সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের উত্তর বাপ্তা মৌজার সড়ক বিভাগের জমি দখলের পায়তারা করছে দুটি পক্ষ। একটি পক্ষ ইতমধ্যে বালি ফেলে ঘর তুলেছে। অপর পক্ষ ঘর তোলার জন্য বাঁশ-খুটি পুতেছে। তত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ওই জমি থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছিলো। তখনকার ওয়ারিশ সূত্রে মালিক মফিজুল ইসলাম জানান ১৯৭৫ সালে জমি খাজনার অভাবে নিলাম হয়, তৎকালীন কবি মোজাম্মেল হক নিলাম ডাকের মাধ্যমে জমির মালিক হন মফিজুল ইসলাম জানান কবি মোজাম্মেল হকের বংশধর হিসেবে তিনি এতদিন এই জমি ভোগ করছিলেন,ভোলা সদর ভূমি অফিসের সহাকারি ভূমি কমিশনার (এসিলেন্ড) মো. রুহুল আমিন বলেন, তারা সরেজমিন তদন্ত করে দেখেছেন দখলকৃত জমিটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। জমিতে ঘর উত্তোলণকারী মো. সাহাবুদ্দিনকে তার পক্ষের কাগজপত্র নিয়ে রোববার ভূমি অফিসে দেখা করতে বলেছেন।
ভোলা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, তারা সার্ভেয়ার পাঠিয়ে সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
বুধবার বিকেলে সরেজমিন দেখা যায় পরানগঞ্জ খালের দক্ষিণ পাশে সড়ক ও জনপথের জমিতে বালি ফেলে মো. সাহাবুদ্দিন মীর পক্ষ একটি ঘর তুলেছেন। ঘরের উপরে পরাণগঞ্জ পোষ্ট অফিস নামের একটি সাইবোর্ড লাগিয়েছেন। জানা যায় শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী খাদিজা বেগম ওই পোষ্ট অফিসের মাষ্টারের দায়িত্বে আছেন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গনশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক হিসেব চাকুরী করছেন। এবং শাহাবুদ্দিন ভোলার দমকল বাহিনীতে কর্মরত রয়েছে।
আরও দেখা যায় সাহাবুদ্দিনের দখলকৃত ঘরের সামনে নতুন আরেকটি ঘর তোলার জন্য খুটি-বাঁশ পুতছেন।
এলাকাবাসী জানায়, এই জমিটি পরাণগঞ্জ খালের একটি শাখা খাল ছিলো। সেখানে মফিজুল ইসলামসহ কয়েকজন পাকা খুটি (ভিম) তুলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘর তোলে। ২০০৭-২০০৮ সালের দিকে তত্বাবধায়ক সরকারের নৌ-বাহিনী ও সড়ক বিভাগ ওই ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে। সেই থেকে দীর্ঘ দিন জমিটি ফাকা পড়েছিলো। গত এক মাস ধরে শাহাবুদ্দিন পক্ষ বালি দিয়ে ওই জমিটি ভরাট করে ঘর তুলেছে। এর পরে পূর্বের দখলকারীরা সেই ঘরের সামনে বাশ-খুটি পুতে ঘর তোলার চেষ্টা করছে। স্থানীয়দের দাবি বর্তমানে দুটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। যে কোনো মূহুর্তে বড় ধরণের সংঘাত বা সংঘর্ষ হতে পারে।
ভোলার দমকল বাহিনীর ফায়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন ও তার বড় ভাই মোশারেফ হোসেন বলেন, উত্তর বাপ্তা মৌজার ১৪২,৪৩, ৪৪ দাগের জমির মালিক ছিলেন মোজাফফর আলী চৌধুরী। দুই’শ বছর আগে তাদের পূর্ব পুরুষ এই জমি ক্রয় করে। সেই সুত্রে তারা জমির মালিক। পরবর্তীতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কিছু জমি নিয়ে যায়। জমিটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় ছিলো। এ কারনে তারা মুখশা দাবি করে বালি ফেলে ঘর তুলেছে কিন্তু সড়ক বিভাগের জমি দখল করেননি। আবুল কাশেম পক্ষ জোর করে সড়কের জমিতে পূর্বের মত ঘর তোলার পায়তারা করছে।
আবুল কাশেম ও মোসলেহ উদ্দিন পক্ষ জানান, মোজাফফর আলী চৌধুরীর জমি (১৪২, ৪৩, ৪৪) হাত বদল হয়ে মুনাফ হাওলাদারের ভোগদখলে যায়। পরবর্তীতে সরকার ১৪৩ দাগ ক-তালিকাভুক্ত করে নেয়। পরে ওই জমির উপর দিয়েই ভোলা-ইলিশা সড়কটি চলে যায়। সরকের পাশের জমিতে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে। ২০০৭-২০০৮ সালে তত্বাবধায়কের আমলে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হয়। আর বর্তমানে শাহাবুদ্দিন সেই জমি দখল করেছে।