স্টাফ রিপোর্টার : ভোলায় প্রথম বারের মত পালিত হয়েছে স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামালের ৭১তম জন্মদিন। ভোলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে ১৬ই ডিসেম্বর শনিবার সন্ধা সারে ৬ টার সময় ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই জন্মদিন পালিত হয়। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে শনিবার দুপুর ১২টার সময় সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল কলেজে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল হোসেন বিপ্লব হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিটিভির প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক এম এ তাহের, প্রেসক্লাব সম্পাদক সামস উল আলম মিঠু, সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, দৈনিক দক্ষিন প্রান্তের সম্পাদক এডভোকেট নজরুল হক অনু, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ভাতিজা মো: সেলিম।ভোলার কর্মরত অসংখ্য সংবাদ কর্মী ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
প্রসঙ্গতঃ বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল ১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোলার দৌলতখান উপজেলার হাজিপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানী বাহীনীর গুলিতে নিহত হন।
এসময়ে জনাব মাইনুল হোসেন বিপ্লব বলেন, যার গর্বে আমরা আজ গর্বিত সেই শ্রেষ্ঠ সন্তান আমাদের বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল এর জন্মদিনে আমাকে দাওয়াত করার জন্য। এবং আগামীতে আমরা এই দিনটিকে স্বরনীয় করে রাখার জন্য ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে সব ধরনের কর্মসূচী হাতে নেব। পাশাপাশি বীর শ্রেষ্ঠ’র নামে যে কলেজ ও তার নিজ বাস বভনের বিষয়টি নিয়ে আমি যথাযত কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সব ধরনের ব্যবস্থা নেব।
তাঁর জন্মদিন নিয়ে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের মা মালেকা বেগম বলেন, যুদ্ধে যাওয়ার সময় মোস্তফা কামাল আমার গালে চুমু দিয়ে বলে গেছেন “মা বঙ্গবন্ধু জেল থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত আমি ফিরবো না। তুমি আমার জন্য চিন্তা কর না। কিন্তু মোস্তফা কামাল আর ফিরে এলো না। শুধু মোস্তফা কামালই আমার ছেলে নয়, বাংলার প্রতিটি সন্তানই আমার সন্তান বলে আমি মনে করি।