ভোলায় দালালদের দৌঁড়াত্ম্যে অতিষ্ঠ সাধারণ রোগীরা

0
25

স্টাফ রিপোর্টার।। ভোলায় বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারের দালালদের দৌঁড়াত্ম্য বেড়ে গেছে। যার ফলে হয়রানী ও লাঞ্চনার শিকার হচ্ছে গ্রাম-গঞ্জ থেকে আসা সাধারণ রোগীরা। এসব দালালরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থেকে রোগীদেরকে ভুল বুঝিয়ে টানা হেচরা করে তাদের ডায়াগনেষ্টিকে নিয়ে যায়। দালালদের প্রতারনায় পরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে রোগীরা। রবিবার (৪ এপ্রিল) বাংলাস্কুল মোড়ে দালাল চক্র সাধারণ রোগীদেরকে হয়রানী করার প্রতিবাদ করায় আঃ রহমান নামের এক ডায়াগনেষ্টিক স্টাফকে পিটিয়ে আহত করা হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারের দালালদের হয়রানী থেকে রক্ষা পেতে সাধারন রোগীরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

জানা যায়, ভোলার কিছু ক্লিনিক ও ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারের দালাল চক্র শহরের বাংলাস্কুল মোড়, নতুন বাজার, যুগিরঘোল, কালিনাথ রায়ের বাজার এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকে। মোঃ জসিম, জুয়েল, শিমূলের নেতৃত্বে একটি প্রতারক চক্র অটোরিকশা, বোরাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে নজরদারী করে। দালালরা গ্রাম-গঞ্জ থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদেরকে দেখলে তাদের কাছে গিয়ে ছলছাতুরি করে তাদের ক্লিনিক ও ডায়াগনেষ্টিকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। যেসব রোগী দালালদের কথা মতো সেখানে যেতে চায় না তাদেরকে টানাহেচরা করে দালালরা। এসব দালালদের দ্বারা হয়রানী ও প্রতারনা শিকার হচ্ছে সাধারণ রোগীরা। দালালদের কথা মতো চিকিৎসা সেবা নিতে এসে চরম ভোগান্তির শিকার রোগীরা অসহায় হয়ে পড়ে। বিশেষ করে শুক্রবার আসলে এসব দালালদের উৎপাত বেড়ে যায়। রোগী নিয়ে গেলে ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার থেকে কমিশন পায় দালালরা।

আজ রবিবার (০৪ এপ্রিল) মোঃ জসিমের নেতৃত্বে একটি প্রতারক চক্র বাংলাস্কুল মোড়ে রোগীদের টানাহেচরা করলে আঃ রহমান নামের ডায়াগনেষ্টিক স্টাফ তাদেরকে বাঁধা দেয়। এসময় মোঃ জসিম লাঠিসোটা দিয়ে আঃ রহমানকে এলোপাথারী মারধর করে। পরে লোকজন এসে ঝড়ে হলে জসিম চলে যায়। আঃ রহমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত আঃ রহমান বলেন, মোঃ জসিম বাংলাস্কুল মোড়ে রোগীদেরকে টানাহেচরা করছে এসময় আমি বাঁধা দিলে সে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।

এক মহিলা রোগীর স্বামী মোঃ আনিছুর রহমান মজগুনী বলেন, আমার স্ত্রীকে নিয়ে শুক্রবার ডাক্তার দেখাতে বাংলাস্কুল মোড় হয়ে একটি ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারে রওনা দেয়। এসময় কিছু দালাল দৌঁড়ে এসে তাদের ক্লিনিকে যেতে বলে আমি যেতে না চাইলে তারা টানাহেচরা করে। পরে আমি থানা ফোন দিবো বলার পর আমাকে ছেড়ে দেয়।

ভোলা নাগরিক অধিকার ফোরামের সভাপতি কাজল কৌশিক বলেন, ভোলার কিছু ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ শহরের বিভিন্ন স্থানে দালালদের বসিয়ে রাখে। এসব দালালরা বিভিন্ন যানবাহনে নজরদারী করে রোগী দখলে তাদেরকে ভুল বুঝিয়ে পছন্দের ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। যারা যেতে চায় না তাদেরকে টানাহেচরা করে। এসব দালালদেরকে কাছে ভোলার সাধারণ রোগীরা জিমি হয়ে পড়েছে। তারা প্রতারনা ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। প্রশাসন যদি প্রতি শুক্রবার ভোলার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালায় তাহলে রোগীরা দালালদের প্রতারনার হাত থেকে বাঁচতে পারবে।

ভুক্তভোগী একাধীক সাধারণ রোগী দালালদের দ্বারা হয়রানী, টানাহেচরা ও প্রতারনার হাত থেকে বাঁচতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

LEAVE A REPLY