অমি আহমেদ,ভোলা বাজার ঘুরেঃ ভোলার বাজারে নিয়মিত বাজার মনিটরিং না থাকায় বিক্রেতারা ইচ্ছে মত বাজার দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে । তবে বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারী বাজারে সরবরাহ কম থাকায় পন্যের দাম কিছুটা বেড়েছে শীত শুরু হলেই শাক সবজির দাম কমে যাবে।
গত এক সপ্তাহের ব্যাবধানে পেয়াজ , রসুন, আলু, শসা, আদা, কাচা মরিচ দাম বৃদ্ধি । এরমধ্যে পেয়াজের গায় আগুন, আদা ও কাচা মরিচের দাম নাগালেল বাইরে চলে গেছে ক্রেতাদের অভিযোগ ।এতে নিম্ম ও মধ্য আয়ের পরিবারগুলো দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে সব ধরনের মাংস ও মাছেল দাম কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে।কিন্তু ক্রেতারা বলছে তার দাম ও বৃদ্ধি হতে পারে।মঙ্গল বার ভোলার নতুন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাচা বাজার অধিকাংশ তরি তরকারি দাম ৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহের ব্যবধানে হঠাৎ করেই পন্যের দাম বেড়েছে বলে ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন। বাজারে বেগুন কেজি প্রতি ৫৫ টাকার স্থলে ৬০ টাকা, আলু ১২ টাকার স্থলে ১৫ টাকা, কাচা মরিচ ৮০ টাকার স্থলে ১২০ টাকা, পেয়াজ ৪৫ টাকার স্থলে ৬০ টাকা, শসা ৪৫ টাকার স্থলে ৫০ টাকা, রসুন ৭৫ টাকার স্থলে ৮০ টাকা এবং আদা ১৫০ টাকার স্থলে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও দেশী মুরগী ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম স্বাভাবিক রয়েছে পেল্ট্রি মুরগীর ও মাংমের দাম। পোল্ট্রি মুরগী কেজি প্রতি ১১০ টাকা, গরুর মাংস ৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে নিয়মিত মনিটরিং না থাকায় বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামের কোন নিয়ন্ত্রন নেই বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তাদের অভিযোগ, কখন সরবরাহ কম থাকা কখনও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি আবার কখনো কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
তবে কাচা বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলেন, কিছু দ্রব্যের দাম বেড়েছে তবে কি কারনে দাম বেড়েছে তা জানা নেই তাদের। কয়েকজন ব্যবাসয়ী বললেন, কয়েকদিনের মধ্যে কাচা বাজারের পন্যের দাম কমতে পারে।
সদর রোডের হোসনেয়ারা বেগম বলেন, বাজারের প্রতিদিটি পন্যের দামই আকাশ চুম্মি। লাগামহীন পণ্যের দাম বাড়ার কারনে আমরা আয়ের সাথে ব্যায়ের হিসাব মিলাতে পারছেন না।
ঢাকা গ্লাসের মালিক মোঃ আলি জানান , বাজারে পণ্যের দাম বাড়ার কারনে আমরা অনেকটা বিপাকে আছি, এ ব্যাপারে বাজার নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মোনালিশা ফুড এর মালিক ও ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেট প্রকাশক বলেন ,এভাবে দাম বাড়লে মানুষ কি খেয়ে বাঁচবে, প্রশাসনের ঠিক মত নজরদারী হচ্ছে না এর কারণে ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছা মতো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রশাসনের প্রতিদিন বাজার মনিটরিং দরকার।
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃথা মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে আমারা ব্যবস্থা গ্রহন করবো।