ভোলার লালমোহনে শিশু বিয়ের কারণ, প্রভাব ও প্রতিকার নিয়ে এ্যাডভোকেসি সভা

0
11

আদিল হোসেন তপু,ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।
ভোলার লালমোহনে শিশু বিয়ের কারণ, প্রভাব ও প্রতিকারের উপায় নিয়ে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। এর আয়োজন করেছে কোস্ট ট্রাস্ট। সহযোগিতা করেছে ইউনিসেফ ও  মহিলা এবং শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়।
এসময় বক্তারা বলেন ,স্থানীয় সকলে উদ্দ্যেগ নিলে ৮০% বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করা সম্ভব।বাল্যবিবাহ অনেক কমে গেছে। এখন যে সকল বাল্য বিবাহ হয় তা গোপনে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের চাপের কারনে অনেক সময় বাল্যবিবাহ সংঘঠিত হয়। তাই স্থানীয় নেতাকর্মীদের এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
গবেষণায় দেখা যায়, বাল্যবিয়ের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে প্রেম-ভালোবাসাকে দায়ী বলে মনে করেন ৬৩.৬% উত্তরদাতা। এরসাথে নিরাপত্তাজনিত কারণও জড়িত বলে জানান ৪১.৬%। এছাড়া ছেলে-মেয়েরা যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে তাই পারিবারিক সম্মানের কথা বিবেচনা করে তাড়াতাড়ি বিয়ে দেয়া হয় বলে মত দেন ৪১%। ভালো পাত্র পেলে বিয়ে দেয়া হয় বলে মনে করেন ৪৭.৮%। অসচেতনতার কথা বলেছেন ৪৪.৯% এবং দারিদ্র্যতা এর কারণ বলে উল্লেখ করেছেন ৫০.৯% উত্তরদাতা। গবেষণায় দেখা গেছে যে ৩৭.৮% উত্তরদাতরই ধারণা নেই ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু আর ১৫-১৭ বছর বয়সী মেয়েদের বিয়ে হওয়াকে অনেকই শিশু বিয়ে বলে মানতে নারাজ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-নোমানের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ওসি মীর খায়রুল কবীর, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. নূর নবী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুমা বেগম, কোস্ট ট্রাস্টের যুগ্ম পরিচালক ইকবাল আহমেদ, এপিসি প্রকল্প সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান, উপজেলা সমন্বয়কারী ফাহিমা আক্তারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ।

LEAVE A REPLY