ভোলার দুটি উপজেলায় চালু হচ্ছে কৃষক সেবা কেন্দ্র

0
1107
ইয়াছিনুল ঈমন,ভোলা প্রতিনিধি।
জেলার সদর ও চরফ্যাসন উপজেলায় সরকারিভাবে দুটি কৃষক সেবা কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে সকল চাষীর জন্য কৃষি সেবা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে সদরের বাপ্তা ইউনিয়নে একটি সেবা কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ২৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে এবং চরফ্যাসনের জিন্নাগরে অন্যটির জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের বাস্তবায়নে কৃষক সেবা কেন্দ্র দুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা।গত ৮ জুন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বাপ্তা ইউনিয়নে কৃষক সেবা কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তরের উদ্বোধন করেন। অত্যাধুনিক ও আধুনিক প্রযুক্তির এ সেবা কেন্দ্র চালু হলে ঘরে বসেই কৃষকরা সব ধরনের কৃষি সহায়তা পাবে। এতে করে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য, দশের প্রত্যেক ইউনিয়নে ১টি করে কৃষক সেবা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রশান্ত কুমার সাহা জানান, দেশের সকল ইউনিয়নে কৃষকদের দোরগোড়ায় সেবা প্রদানের লক্ষে ইতোমধ্যে ২৪টি ইউনিয়নে সেবা কেন্দ্র চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ভোলায় ২টি কেন্দ্র নির্মিত হবে। প্রতিটি সেবা কেন্দ্র ৩তলা বিশিষ্ট ভবন থাকবে। নিচতলায় থাকবে কৃষকদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক ৩জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষকদের সেবা দেবেন। এতে করে কৃষকদের কৃষি সেবা প্রাপ্তিতে আর কোন হয়রানির সুযোগ থাকবে না।
এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, তিন তলা ভবনটিতে মোট ৫ হাজার স্কায়ার ফুট জায়গা থাকবে। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। কাজের গুণগত মান শতভাগ বজায় রাখার জন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানান জেলা এলজিইডি’র প্রধান এ কর্মকর্তা।
বাপ্তা ভোটের ঘর এলাকার কৃষক বজলু মুন্সি, কাদের হাওলাদার, খালেক হোসেন ও গফুর আলী জানান, এ সেবা কেন্দ্র চালু হলে তারা সবচে বেশি লাভবান হবেন। কারণ, ফসলের যে কোন সমস্যায় তাৎক্ষণিক কৃষি অফিসারদের পরামর্শ পাওয়া যাবে। ফলে রোগ-বালাই’র হাত থেকে রক্ষা পাবে ফসল। এছাড়া এখান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে আরো অধিক ফলন ঘরে তুলতে পারবেন তারা।

LEAVE A REPLY