ভোলার পৌর চরনোয়াবাদে জোরপূর্বক জমি দখল করে গাছ কেটে ঘর উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (৬ এপ্রিল) ভোলা পৌরসভার মধ্যে পৌর চরনোয়াবাদের ৪নং ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়িতে এঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে ঘর নির্মানের কাজ বন্ধ করে দেয়। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভোলা পৌরসভার মধ্যে চরনোয়াবাদের ৪নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আলী হাওলাদার বাড়ির মোঃ জাহাঙ্গীর, মোসলেউদ্দিন হিরা, মোঃ মোস্তফা, মোঃ আলমগীর হোসেন গংদের ভোগদখলীয় ১২ একর জমি নিয়ে একই বাড়ির মৃত আজিজুল হকের ছেলে আঃ হক, আবদুল হাই, মেয়ে আনোয়ারা বেগম গংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিলো। এই জমি নিয়ে জাহাঙ্গীর গংদের সাথে আঃ হাই গংদের সাথে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। জমি নিয়ে ২০০৩ ও ২০১৩ সালে জাহাঙ্গীর গংদের উপর হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি মারধর করে আঃ হাই গংরা। এই হামলার ঘটনায় জাহাঙ্গীর গংরা মামলা করলে আঃ হাই গংদের বেশ কয়েকজন জেল খাটে। তাদের দু’পক্ষের এই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগন একাধিকবার শালিশী বৈঠকে বসে আঃ হাই গংদের জন্য মিমাংসা করতে ব্যার্থ হয়। সোমবার (৬ এপ্রিল-২০) মোসলেউদ্দিন হিরা গংদের ভোগ দখলীয় জমি জোরপূর্বক দখল করে রেইনট্রি গাছ কেটে ঘর নির্মানের শুরু করে আঃ হাই, আঃ হক, আনোয়ারা বেগম গংরা। এতে মোসলেউদ্দিন গংরা বাধা দিলে আঃ হাই, আঃ হক, আনোয়ারা বেগম, তার মেয়ে ইয়াসমিন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে মারধর করার জন্য তেরে আসে। এসময় মোসলেউদ্দিন পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ভোলা থানায় অভিযোগ করেন। খবর পেয়ে পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থলে আসে। বর্তমানে এঘটনায় জাহাঙ্গীর ও মোসলেউদ্দিন গংরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী মোসলেউদ্দিন হিরা বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষের ভোগ দখলীয় জমিতে আঃ হক গংরা জোরপূর্বক গাছ কেটে ঘর নির্মান শুরু করে। এতে আমি বাধা দেওয়ায় আঃ হক গংরা আমাকে মারধর করার চেষ্টা করে। পরে আমি ভোলা থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। বর্তমানে আমাদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এব্যাপারে অভিযূক্ত আঃ হক বলেন, আমাদের ভোগদখলীয় বসত ভিটায় ঘর নির্মান করছি। ভোলা পৌরসভা থেকে আমাদেরকে ঘর নির্মানের অনুমতি দেয়া হয়। মোসলেউদ্দিন গংরা আমাদের ভোগদখলীয় জমিতে ঘর উত্তোলনে বাধা সৃষ্টি করে।