ভোলার টার্কি ও পেকিং হাঁস পালনে নারীদের ভাগ্য বদল

0
540

ভোলা নিউজ২৪ডটনেট।।  ভোলায় টার্কি মুরগী ও পেকিং হাঁস পালনে নারীদের ভাগ্য বদল হতে চলছে। গ্রামাঞ্চলে এসব পাখি পালনে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। অল্প পরিশ্রমে বেশী লাভবান হওয়ায় অনেকটা স্বাবলম্বী হতে চলছে জেলার ২৩ ইউনিয়নের অন্তত ৩৭৫টি পরিবার।
দেশীয় প্রজাতির হাস-মুরগীর পাশাপাশি বিদেশী জাতের মাংশল এ টার্কি ও পেকিং হাস পালনের আগ্রহ বেড়ে গেছে নারীদের। গ্রাম ও প্রত্যান্ত এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে উন্নত জাতের এ মাংশল গৃহ পালিত পাখি পালন।
জানা গেছে, বিভিন্ন প্রজাতির মুরগি ও হাস দিয়ে গ্রামের নারিদের স্বাবলম্বি করতে এগিয়ে এসেছে  বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থা ।
সুত্র জানিয়েছে, ভোলা সদর ও দৌলতখান উপজেলার মোট ২৩টি  ইউনিয়নে প্রায় ৩৭৫টি পরিবারে মধ্যে সম্পুন্ন বিনা মূল্যে অতিদরীদ্র সদস্যদের সাবলম্বি করতে দেয়া হচ্ছে টার্কি মুরগি ও পেকিং বয়লার হাস। প্রতিটি পরিবারকে ২০টি টার্কি ও ১০০শত করে পেকিং বয়লার দেয়া হয়েছে। গ্রামের অতি দরীদ্র পরিবারগুলোর আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরিবারের আয় বৃদ্বিই এর মুল লক্ষ্য।
পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের কৃষি মৎস্য ও প্রানী সম্পদ ইউনিটের সহযোগিতায় গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থা তাদের শাখা কর্যালয় থেকে  এ গুলো বিতরন করে আসছে। গ্রামে জনসাধারনের মধ্যে পড়েছে ব্যাপক সাড়া। এ গুলোর পরিচর্চা থেকে শুরু করে সব ধরনের দেখা শুনা করছে সংস্থার প্রানী ডাক্তারগন। ফলে রোগ বালাই তেকে রক্ষা পাচ্ছে এ সব গৃহপালিত প্রানী।
দৌলতখান উপজেলার মুন্সিরহাট গ্রামের মালা বেগম জানান, টার্কি পালনের খুব ইচ্ছে ছিল তার এনজিও থেকে টার্কি পেয়ে সে খুব খুশি। এখন এগুলো লালন পালনে তার খুব ভালো লাগে অনেকেই এখন দেখতে আসে তার টার্কি ও প্যাকিং বয়লার হাস।
একই গ্রামের মোঃ রগিম জানান, সেও টার্কি মুরগি পেয়েছে টার্কি অতি লাভজনক খাবার কম লাগে মুরগি গুলো বেশির ভাগ সময়ই লতাপাতা খায়।
এদিকে বাজারে প্রতি কেজি টার্কি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০টাকা করে। এতে লাভবান হচ্ছেন দরিদ্র পরিবারগুলো। অন্যদিকে বেকারদের কর্মসংসটথানের সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একজনকে দেখে অন্যরারাও টার্কি ও পেকিং হাস পালনে আগ্রহী হয়ে পড়ছেন।
গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থা (জিজেইউএস) ঙ নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন জানান, অতি দরীদ্র পরিবার গুলোকে স্বাবলম্বি করতে আমরা নারীদের বিনামূল্যে টার্কি ও পেকিং হাস বিতরন করছি। নারীদের উন্নয়নে এবং স্বাবলম্বী করতে তাদের সংস্থা সব সময় কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, এ ধরনের গৃহপালিত পাখি পালন করে অনেকেই সামলম্বী হয়ে উঠছে।

LEAVE A REPLY